Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

30খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০১৬: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তুরস্কের নাক গলানোর কোনো ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দেভরিম ওজতুর্ক। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ড বিলোপকারী দেশ হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর নিয়ে তুরস্ক প্রতিবাদ জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তুর্কি রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
গত ১৫ জুলাই তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় তুরস্ক দূতাবাস ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। গত মে মাসে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি হয়। এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ওই সময় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছিলেন। এরপর বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়ে আলোচনার জন্য দেভরিমকে তুরস্কে ডেকে পাঠানো হয়।
এরদোয়ানের ওই প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার অবশ্যই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর কোনো ইচ্ছাও আমাদের নেই। কিন্তু তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করা হয়েছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে এই অবস্থান থেকেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরেছি।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রতি তুরস্কের কোনো রকম সহানুভূতি আছে কি না জানতে চাইলে তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের সব কটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কোনো বৈষম্য করেন না।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সে দেশে গত মাসের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ম“দাতা ফেতুল্লাহ গুলেনের বিশ্বের ১৬০টি দেশে সমর্থক রয়েছে। বাংলাদেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কিছু প্রতিষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি আছে। এ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে তুরস্কের প্রায় ৩০০ কূটনীতিকের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ঢাকায় তুর্কি দূতাবাসে কর্মরত তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে এক কূটনীতিক দম্পতি তুরস্ক গিয়ে পরে অন্য দেশে চলে গেছেন। অন্য কূটনীতিক আঙ্কারায় ফিরেছেন।