খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০১৬: বাংলাদেশ নিউজ২৪ : মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০১৬
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আজকে যারা বঙ্গবন্ধুর ভক্ত সেজেছেন তারাই ‘৭৫ সালে তাকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার অনেক ভক্ত আসতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন কেউ কথা বলত না, গাছের পাতাও নড়ত না, সেই সময় প্রতিবাদ করেছিলাম। দীর্ঘ ১৬ বছর নিজের ঘরে পা দিতে পারি নাই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আজও বেঁচে আছি; এই অপরাধে দয়া করে যা খুশি তা প্রশ্ন করবেন না।’
ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
কত দিন পর বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে এলেন—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মাঝে মধ্যেই আসি আপনারা খোঁজ রাখেন না। এখন হাতি পানিতে পড়ে থাকলেও খবর হয়। মানুষ না খেয়ে থাকলে খবর হয় না।’
বর্তমান সঙ্কটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর আজকের পার্থক্য এক জিনিস নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র জাতি এক হয়েছিল বলেই আমরা জয়লাভ করেছিলাম। তাদের তুলনায় আমদের অস্ত্রের শক্তি তেমন ছিল না। কিন্তু আমাদের রক্ত দেয়া, জীবন দেয়ার ও একে-অপরকে ভালোবাসার শক্তি ছিল অনেক বেশি। আজকে সেটা নাই। আজকে জাতীয় চেতনা, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ প্রধামন্ত্রীর নেয়া দরকার। এই উদ্যোগ নিয়ে তিনি যদি সফল হন, তাহলে সারাবিশ্বে তার নাম থাকবে।’
খালেদা জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়া যদি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তার হত্যার ঘটনায় মর্মাহত হয়ে জন্মদিন পালন না করে থাকেন, তাহলে সেটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী সার্বজনীনভাবে সবার পালন করা উচিত।’
এসময় কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসরিন সিদ্দিকী ছাড়াও দলের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।