Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০১৬: পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে দেড় মাস আগে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মুসা ওরফে মসিউদ্দিনই কী চট্টগ্রামে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার প্রধান আসামি? যাচাই করতে কলকাতায় এসেছে ডিবির সহকারী কমিশনার পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা। মঙ্গলবার সকালে তিনি কলকাতায় এসেছেন। এদিনই মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি)। তবে সরকারিভাবে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের তদন্ত করতে আসার বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী জঙ্গি নিব্রাস ইসলামের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এই মুসার। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাদের মধ্যে কথা চালাচালি হতো।
গত ৫ জুলাই বর্ধমানের একটি স্টেশনে ট্রেন থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল মুসাকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সঙ্গে যুক্ত থাকার। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে জানায়, এরাজ্যে নাশকতার ছক কষছিল মুসা। তামিলনাড়ু থেকে তার পিছু নিয়ে শেষ পর্যন্ত বর্ধমানে ট্রেন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার আইএস যোগও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে স্লিপার সেল তৈরির চেষ্টা করছিল। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুরে তার বাড়ি রয়েছে। সেখানে থাকে তার স্ত্রী ও ছেলে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশুনা করেছে মুসা।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হওয়া মুসাই চট্টগ্রামের অস্ত্র ব্যবসায়ী মুসা কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই বাংলাদেশের ডিবি কর্মকর্তা কলকাতায় এসেছেন। ১৮ আগস্ট পর্যন্ত মুসা এনআইএ হেফাজতে থাকবে। এনআইএ-এর কলকাতা দপ্তরেই এসেছেন ডিবির কর্মকর্তা। সেখানে এনআইএ অফিসারদের উপস্থিতিতে মুসার সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। তবে পুরো ব্যাপারটাই হবে অনানুষ্ঠানিকভাবে। সেকারণে এই তদন্ত বা জেরার বিষয়ে সরাসরি কেউ কিছু বলতে বা মুখ খুলতে চাইছেন না।
এনআইএ সূত্রে খবর, গুলশান হামলার সঙ্গে এই মুসার কী যোগ রয়েছে তাও জানার চেষ্টা করতে এবং জঙ্গি যোগ নিয়ে যেসব সূত্র মলছে না তা মেলাতেই দুই দেশের গোয়েন্দাদের সামনে মুসার জেরা চলবে। এতদিন পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির হেফাজতে জেলে ছিল মুসা।
গতকাল এনআইএ-এর জেরায় মুসা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে নিব্রাস ইসলামের সঙ্গে তার নিয়মিত কথাবার্তা হতো। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন গুলশান হামলায় জড়িত চক্রের সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গে কোথায় লুকিয়ে রয়েছে।