Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2kখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৬: প্রতারকচক্রের মূলহোতাসহ পাচারকারী দলের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এসময় অর্ধশতাধিক তরুণ-তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বিকালে ধামরাইয়ের ডুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডস্থ মোল্লা আজাদ ম্যানসনে অবস্থিত ফিউচার টাচ বাংলাদেশ ও লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামের দুটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ধামরাই থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু জানান, আটককৃত ১০জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তিনি জানান, গাজীপুরে পাওয়ার ড্রীম বিডি ও টঙ্গিতে পাওয়ার টাচ বিডি নামে আরও দুটি প্রতারণার ফাঁদ রয়েছে এ প্রতারক চক্রের।
প্রতারক চক্রের গ্রেফতারকৃত সদস্যরা হলেন- ধামরাই পৌরশহরের ছোট চন্দ্রাইল মহল্লার আবদুল মালেক (৫৯), সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের বাবুল হোসেন (২৯), পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার শামীম আল মামুন (৩৮), সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার ফরিদুর রহমান (৩৮), কুড়িগ্রামের ওলিপুরের আবদুল খালেক (৩২), ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মো. আকাশ (৩২), ভুরঙ্গামারির মো. আবু বকর সিদ্দিক (২৫), ওলিপুরের ফরমান আলী (২৮), জাকির হোসেন (২৯) ও ঝিনাইদহের শৈলকোপার স্বপন কুমার সরকার।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি দেয়ার নামে ওই ভিকটিমদের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এনে কৌশলে গোপন আস্তানায় আটকে রাখা হয়। পরে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেলে বিদেশে পাচারের হুমকি দেয় ওই প্রতারকচক্র।
ভুক্তভোগীরা কৌশলে বিষয়টি ধামরাই থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, গণমাধ্যমে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মার্কেটিং ম্যানেজার, মার্কেটিং সুপার ভাইজার ও অফিস সহকারি পদে নিয়োগ দেয়ার নামে প্রতিজন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০-৪০ হাজার টাকা হারে অর্ধশতাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে ১৭ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ প্রতারকচক্র। ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই রংপুর ও কুড়িগ্রাম এলাকার অধিবাসী।
মোল্লা ম্যানসনের মালিক মোল্লা মাহমুদুর রহমান আজাদ জানান, ধামরাই পৌরসভার ছোট চন্দ্রাইল মহল্লার সাধু মন্ডলের ছেলে আবদুল মালেক বিগত গত বছরের ১ নভেম্বর পাওয়ার টাচ বাংলাদেশ ও লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে ভবনটি ভাড়া নেয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নামে যেভাবে নিরীহ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে তা ক্ষমার আযোগ্য।
উদ্ধার হওয়া হারুণ অর রশিদ ও নাইমুর রহমান জানান, তাদেরকে নেপালে পাচারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল প্রতারকচক্র।