খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৬: আলিফ হোসেন,তানোর : রাজশাহীর তানোরের ঐতিহ্যবাহী ও ইতিহাস সমৃদ্ধ এক নম্বর কলমা ইউনিয়ন পরিষদ ইউপির উন্নয়নের রুপকার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। জানা গেছে, তানোর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী, ইতিহাস সমৃদ্ধ ও রাজনৈতিক কারণে অলোচিত ইউনিয়ন পরিষদ কলমা। তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ‘প্রয়াত’ শাফিউল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ‘প্রয়াত’ শীষ মোহাম্মদের জন্ম কলমা ইউপিতে, এছাড়্ওা স্থানীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধূরীরর জন্ম কলমা ইউপিতে।
দেশ স্বাধীনের পর থেকেই কলমা ইউপির জনসাধারণ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হলেও উন্নয়নের দিক থেকে ছিলেন সবার পিছনে। কিšত্ত মহাজোট সরকার গঠনের ইউপি নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ বিপুল ভোটের ব্যবধানে পর পর দু’বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলমা ইউপি চেয়ারম্যান ময়না স্কুল জীবনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করেছেন,তাই পচ্ছন্দ আওয়ামী লীগকে।
তারা চাচা স্থানীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধূরীর নির্দেশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় কলমা ইউপির উন্নয়নের দায়িত্ব পেয়ে নিরলসভাবে উন্নয়ন কাজ করে চলেছেন। স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর জন্মস্থান ও বাড়ি কলমা ইউপিতে হওয়ায় তার কাছে কলমা ইউপির জনসাধারণের উন্নয়নের প্রত্যাশা একটু বেশিই। এদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরপর দু’বার বিপুল ভোটের ব্যবধানে ময়না ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় কলমা ইউপির উন্নয়নের দরজা খুলে যায়। তার সময়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে কলমা ইউপির যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিগত একশ’ বছরেও হয়নি।
তার সময়ে কলমা ইউপিতে দৃশ্যমান যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। ইউপি চেয়ারম্যান ময়না একজন সফল রাজনৈতিক নেতাই নন তিনি তার ভালবাসা ও সমাজসেবা দিয়ে সাধারণে মানুষের মধ্যমনি হয়ে উঠেছেন। শুধু সরকারি সহায়তায় নয় ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি সাধারণ মানুষের সমস্যা-সংকটে ঝাপিয়ে পড়েন। সমাজের হতদরিদ্র মানুষের অসুখ-বিসুখে সহায়তা প্রদান, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগান, কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা-মাতার পাশে দাড়িয়ে বিয়েতে সহায়তা করাসহ এমন কোনো কাজ নাই যা তিনি করেন না। ফলে তিনি আজ শুধু কলমা ইউপির নেতা নন, তিনি এখন তানোর উপজেলার দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের নেতায় পরিণত হয়ে উঠেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৌরবিদ্যুৎ, বৃক্ষরোপণ, গ্রাম আদালত, আইনশ্ঙ্খৃলার উন্নয়ন, মাদক প্রতিরোধ, আর্তমানবতায় সেবা, অনিয়ম-দূর্নীতি প্রতিরোধ, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা বিস্তার ও সংস্কৃতি, নারীর ক্ষমতায়ন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, শতভাগ স্যানিটেশন, দারিদ্র বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ, বিশুদ্ধ পানি, কৃষি, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, মানবাধিকার, আদিবাসিদের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিকক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৮টি স্বর্ণপদক অর্জন, তিন বার রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ ও একবার রাজশাহী বিভাগ শ্রেষ্ঠ চেয়ারমান নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত ২০১৪ সালে দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহসীন স্বর্ণপদক, লেনসেন মান্ডেলা স্বর্ণপদক, কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বর্ণপদক ও শেরে বাংলা স্বর্ণপদক, ২০১৫ সালে মাদার তেরসা স্বর্ণপদক, কাজী নজরুল ইসলাম স্বর্ণপদক, মহানায়ক উত্তম কুমার স্বর্ণপদক ও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জণ স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন।
দেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বপালনের ৫ বছরের মধ্যে ৮টি স্বর্ণপদক অর্জন, একবার বিভাগ শ্রেষ্ঠ ও তিন বার জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারমানের পুরুস্কার অর্জন করেছেন। বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা শরিক রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়কারী বলেন, তানোর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে সব চাইতে ভালো কাজ করছে কলমা ইউনিয়ন পরিষদ। চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও তার সদস্যরা কাজে অত্যন্ত আন্তরিক। এব্যাপারে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, এসব পুরুস্কার হচ্ছে গোটা কলমাবাসির। কলমা ইউনিয়ন পরিষদকে মডেল হিসেবে গড়তে দলমত নির্বিশেষে ইউনিয়নের সকল নাগরিকের অবদান ও কৃতজ্ঞতার কথা তিনি অপকটে স্বীকার করে আগামিতে ইউনিয়ের আরো বিস্তর উন্নয়ন করতে দলমত নির্বিশেষে সকল নাগরিকদের কাছে আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করেছেন।