খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০১৬: রফতানিমুখী গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের জন্য নগদ সহায়তা বা প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তারা বলেছেন, এ শিল্পখাত থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি হলেও এখাতে কোনো নগদ প্রণোদনা দেয়া হয়নি। ২০২১ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পখাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পে নগদ প্রণোদনাসহ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা জোরদার করা জরুরী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব উপায়ে গাসেন্টস্ অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন’শীর্ষক সেমিনারে তারা এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস্ অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) এ সেমিনারের আয়োজন করে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিজিএপিএমইএ প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল কাদের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।এতে পৃথকভাবে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ফিরোজ ইকবাল ফারুকী এবং সংগঠনের উপদেষ্টা রাফেজ আলম চৌধুরী। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের পরিচালক সুষেণ চন্দ্র দাস, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ ও সংগঠনের দ্বিতীয় সহসভাপতি মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মতি আলোচনায় অংশ নেন। সেমিনারে বক্তারা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পখাতে আমদানি বিকল্প ও মূল্য সংযোজনকারী পশ্চাৎ সংযোগ শিল্প হিসেবে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিংয়ে গুরুত্বপূর্র্ণ অবদান রাখছে।এক সময় দেশিয় গার্মেন্টস্ শিল্পে শতভাগ আমাদিনকৃত অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য ব্যবহার হতো।বর্তমানে দেশে এখাতে প্রায় দেড় হাজার শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেছে। তারা বলেন,এসব কারখানায় উৎপাদিত ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের পণ্য সরাসরি দেশীয় তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে।এ শিল্পখাতে মূল্য সংযোজনের হার শতকরা ৪০ ভাগেরও বেশি এবং প্রতিবছর এ শিল্পে প্রায় ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ঘটছে। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পখাত একই সাথে আমদানিবিকল্প ও রফতানিমুখী শিল্প হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।এ শিল্প বিকাশের ফলে দেশিয় তৈরি পোশাক শিল্পখাতের মূল্য সংযোজনের সুযোগ বেড়েছে। পাশাপাশি গার্মেন্টস্ অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং সামগ্রী উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। সামগ্রীক গুরুত্ব বিবেচনায় এ শিল্পখাতে ডাবল ইনসেনটিভ দেয়া উচিত। এটি নিশ্চিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে জোর সুপারিশ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আমির হোসেন আমু বলেন,বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় স্থান। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। উদীয়মান দেশীয় শিল্পখাত হিসেবে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকার সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা দেবে বলে তিনি উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করেন।