খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০১৬: এম সেলিম শাহী, ঝিনাইগাতী ,শেরপুর: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর হাতিবান্দায় ৪৪ বছরেও নির্মিত হয়নি ব্রীজ। ফলে এ পথে যাতায়াতকারী ১০ গ্রামের মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই ঘটে দূর্ঘটনা। ১০ গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী মহারশি নদীর হাতিবান্দায় একটি ব্রীজ নির্মাণের। এ দাবী এখন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানায়, এ নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার আবেদন-নিবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু আজো এ নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়নি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ নির্বাচন এলে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা এ নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছে ভোট নেন। কিন্তু নির্বাচনের পর কোন জনপ্রতিনিধিরা তাদের আর খোজ-খবর নেন না। ১৯৮৬ সালে এ নদীর উপর একপি স্লুইচ গেইট নির্মাণ করা হয়। স্লুইচ গেইটের পাশ দিয়ে নির্মাণ করা হয় সংযোগ সেতু। এলাকার লোকজন বছর খানেক সময় ধরে এ সেতুর উপর দিয়ে পারপার হলেও বছর যেতে না যেতেই পাহাড়ী ঢলে স্লুইচ গেইট ও সংযোগ সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। পরে গ্রামবাসীরা ওই সংযোগ সেতুটি জোড়াতালি দিয়ে কোন রকমে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু রাখলেও পারাপাড়ের সময় মাঝে মধ্যেই এখানে ঘটছে দূর্ঘটনা। গত কয়েক মাস পূর্বে এ সেতুর উপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে হাতিবান্দা গ্রামের আলী আজগর নিহত হন। এছাড়া এ সেতুর উপর দিয়ে কৃষকদের কৃষিপণ্য, গবাদি পশু ও রিকসা ভ্যান বা মোটর সাইকেল যাতায়াত করতে পারে না। নড়বড়ে এ সেতুর উপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে আসছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, বিগত সরকারের সময়ে এ নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের জন্য ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে ব্রীজটি আর নির্মাণ করা হয়নি। গ্রামবাসীদের মতে, এ পথে যাতায়াতকারীদের যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং এ নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ জরুরী। এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রেও উন্নয়ন সাধিত হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, ব্রীজটি নির্মানের জন্য বিভিন্ন সময় জেলা ও উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে।