Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

33খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০১৬: ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) তিন সদস্যের পর্যবেক্ষক দল। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। এরপর সকাল ১১টায় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক, তারপর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে রেডিসন ব্লু পরিদর্শনে যান তারা।

ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ করার জন্য তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ এসেছেন। দলে আছেন ইসিবির নিরাপত্তা উপদেষ্টা রেগ ডিকাসন, পিসিএ প্রধান নির্বাহী ডেভিড লেথারডেল ও ইসিবির ক্রিকেট অপারেশনের ডিরেক্টর জন কার।
তাদের সঙ্গে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রতিনিধি দলের পাঁচ সদস্য। তারা হলেন, বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, গ্রাউন্ড অ্যান্ড ফ্যানিলিটিস ম্যানেজার সৈয়দ আবদুল বাতেন, বোর্ড পরিচালক এইচ আই মল্লিক, অপারেশন ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজ আনাম।
এদিকে জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইসিবির ক্রিকেট অপারেশনের ডিরেক্টর জন কার। ইসিবির এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার পর আমরা চট্টগ্রামে সফর করলাম। এটা আমাদের রুটিন সফর। এর আগে আমরা ভারতেও সফর করেছি। আমরা এদেশের সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী থেকে ভালো সহযোগিতা পেয়েছি।’
চট্টগ্রামের ভেন্যু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগে চট্টগ্রামে বিশ্বকাপের সময় ইংল্যান্ড দল এখানে খেলেছে। তাই চট্টগ্রামের ভেন্যু সম্পর্কে আমরা জানি।’
বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করবো না উল্লেখ করে জন কার বলেন, আমরা এখন কোনো মন্তব্য করবো না। আমরা দেশে ফিরে গিয়ে বাংলাদেশে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবো। প্রতিবেদনটি আমাদের সরকারকে দেবো।
এদিকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন সাংবাদিকদের বলেন, এর আগেও ইংল্যান্ড দল চট্টগ্রামে খেলে গেছে। তাই তারা চট্টগ্রামের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে জানে। আমরা আমাদের সিকিউরিটি প্ল্যান, লজিস্টিক সুযোগ-সুবিধা তাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। এছাড়া আরও বাড়তি নিরাপত্তা দরকার পড়লে আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা ব্যবস্থা করবো। আমরা আশাবাদী ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশে খেলতে আসবে।