খোলা বাজার২৪, রোববার, ২১ আগস্ট ২০১৬: আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় বিলম্বিত ও প্রলম্বিত যুদ্ধাপরাধের এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলারও বিচার হবে।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, ‘ বিএনপির শাসনামলে হাওয়া ভবনের দুঃশাসনের কথা মানুষ ভুলে যায় নি। তাদের নির্দেশেই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।’
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম আজ দুপুরে নগরীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বন্যাদুর্গতদের জন্য ১৪ দলের ত্রাণ তৎপরতার নিয়ে সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ও ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ত্রাণ ও দুযোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফরিদুন্নেসা ইন্দিরা, উপ-দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট মৃনালকান্তি দাস ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপির নেতাদের মুখে মানবতা ও আইনের শাসনের কথা শোভা পায় না। কারণ তারা বঙ্গবন্ধু খুনীদের বিচার করা তো দূরের কথা বিচার যাতে না হয় তার জন্য ইনডেমনিটি বিল পাশ করেছিল।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরষ্কৃত করেছিল এবং বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের সময় নানা অজুহাতে বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার বিচারকে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকলে এ মামলার বিচার কখনো সম্পন্ন হতো না।
নাসিম বর্তমান সরকারের মেয়াদেই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হামলা সম্পন্ন করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানান।
মোহাম্মদ নাসিম এ সময় জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী সেপ্টেম্বর মাস ব্যাপী কর্মসূচী ঘোষনা করেন। এ কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জে, ২৩ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধায়, ২৪ সেপ্টেম্বর জয়পুরহাট এবং ২৫ সেপ্টেম্বর নওগাঁয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে দেশের মানুষ সাড়া দিয়েছে এবং স্বত:স্ফূর্ত ভাবে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বাইরেও সমাজের নানা শ্রেনী-পেশার মানুষ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
মেনন বলেন, বর্তমানের জঙ্গী হামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর যে উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছিল তারাই এ সকল হামলার সাথে জড়িত।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বন্যা কবলিতদের ত্রাণ কর্মকান্ডে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করার জন্য কেন্দ্রীয় ১৪ দল এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।