কলেজগুলো হল- এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ, সিটি মেডিকেল কলেজ, নাইট এঙ্গেল মেডিকেল কলেজ, জয়নুল হক শিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ, তাইরুন নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ, আইচ মেডিকেল কলেজ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও আশিয়ান মেডিকেল কলেজ।
জরিমানার অর্থের অর্ধেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, প্রাপ্ত অর্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সঞ্চয় (ফিক্সড ডিপোজিট) করবে। এই সঞ্চয় থেকে পাওয়া মুনাফা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি হিসেবে দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অর্থের ওপর ভ্যাট আরোপ না করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জরিমানার বাকি অর্ধেক অর্থ ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন ও কিডনি ফাউন্ডেশনে জমা করতে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে কলেজগুলোকে ১৫৩ শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিতে বলেছেন আদালত।
জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে কলেজগুলো ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি তদারক করবে।
আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিন। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রেজা সোবহান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাইফুল করিম। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও এ জে মোহাম্মদ আলী।
এর আগে গত ১০ আগস্ট ১০ বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং জরিমানা করা হবে না, গত ১০ আগস্ট তা জানতে চান দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সংশ্লিষ্ট কলেজের চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষকে আজকের (২১ আগস্ট) মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলেন আদালত।
১৫৩ শিক্ষার্থীর বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিলের শুনানিতে ওই আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।