
প্রকাশিত খবরমতে স্নোডেনের বক্তব্য এ রকম- ‘আমার কাছে প্রমাণ আছে, বিন লাদেন এখনো সিআইএর জিম্মায় রয়েছেন। প্রতি মাসে তিনি ১ লাখ মার্কিন ডলার গ্রহণ করেন। ব্যবসায়ী ও কিছু সংস্থার মাধ্যমে তার অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠানো হয়ে থাকে। এখন তিনি কোথায় আছেন, তা ঠিক আমি জানি না। তবে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাহামা দ্বীপপুঞ্জে ছিলেন বিন লাদেন। সঙ্গে তার পাঁচ স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে ছিল।’
উল্লেখ্য, বিন লাদেনকে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয় ২০১১ সালের ২ মে।
স্নোডেন এখন ফেরারি। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) নজরদারির তথ্য ফাঁস করার পর দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর এমন কিছু তথ্য ফাঁসকরেছেন তিনি, যা যুক্তরাষ্ট্রকে বেকায়দায় ফেলেছে।
এদিকে খবরে বলা হয়েছে, এর আগেও বিন লাদেনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলেছেন স্নোডেন। কিন্তু সেসব অভিযোগ খবরে আসেনি।
স্নোডেন বলতে চাইছেন, বিন লাদেনের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাকে সিআইএ তুলে নিয়ে বাহামা দ্বীপপুঞ্জে গোপন কোথাও রেখেছে। তার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও আছেন।
আগামী সেপ্টেম্বরে স্নোডেনের একটি বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এই বইয়ে বিন লাদেন যে বেঁচে আছেন, সে সম্পর্কিত তথ্য-প্রমাণ থাকবে। তবে স্নোডেনের এই দাবি নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি এবং অন্য কেউ এখনো এমন দাবি করেনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, বিন লাদেনকে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে গুলি করে হত্যা করে মার্কিন নৌ-কমান্ডোরা। তার লাশ সাগরতলে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিন লাদেনকে হত্যার সেই অভিযান নিয়ে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই একেকজন একেক রকম তথ্য দিয়েছেন। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে বিন লাদেন নিহত। আল-কায়েদার প্রাক্তন এই নেতাকে গণমাধ্যমে ‘প্রয়াত বা নিহত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সুত্র।। টাইমস অব বাংলাদেশ