খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২২ আগস্ট ২০১৬: রাজধানীর কল্যাণপুরের নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে ৭ জনের স্বজনের ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড) প্রোফাইল সংগ্রহ করেছে পুলিশ। নিহতদের ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে স্বজনদের ডিএনএ প্রোফাইল মিলিয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোমবার (২২ আগস্ট) এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, ডিএনএ প্রোফাইল মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে নিহত জঙ্গিদের লাশ হস্তান্তর করা হবে।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, পরিচয় পাওয়া নিহত ৮ জনের মধ্যে রায়হান কবির ওরফে তারেক ছাড়া বাকিদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ প্রোফাইল মিলিয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
গত ২৬ জুলাই মধ্যরাতে কল্যাণপুরে একটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় প্রথমে এক জঙ্গি পালিয়ে যায় এবং এক জঙ্গি গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়। পরে ভোরের দিকে বিশেষ ফোর্স সোয়াট, ডিবি, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে ওই আস্তানায় থাকা ৯ জঙ্গি নিহত হয়।
নিহতরা হলেন— দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার বল্লভপুরের সোহরাব আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, টাঙ্গাইলের মধুপুরের নূরুল ইসলামের ছেলে আবু হাকিম নাইম, ঢাকার ধানমন্ডির রবিউল হকের ছেলে তাজ-উল-হক রাশিক, সাতক্ষীরার তালা থানার ওমরপুরের নাসির উদ্দিন সরদারের ছেলে মতিয়ার রহমান, ঢাকার গুলশানের সাইফুজ্জামান খানের ছেলে আকিফুজ্জামান খান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা তৌহিদ রউফের ছেলে সাজাদ রউফ অর্ক, নোয়াখালীর সুধারাম থানার মাইজদী এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে জোবায়ের হোসেন, রংপুরের পীরগাছা থানার পুরশুরা এলাকার শাহজাহান কবিরের ছেলে রায়হান কবির ওরফে তারেক ওরফে ফারুক। অপর একজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।