
সরকারিভাবে গ্রেনেড সরবরাহ করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হামলার পর মামলা গ্রহন না করে এ হামলার দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর সর্বাত্মক চেষ্ঠা চালানো হয়েছিল।
সংসদে নিন্দা প্রস্তাব না এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্ম্পকে নানা মন্তব্য করা হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এমন বর্বর গ্রেনেড হামলা পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ আজ দুপুরে নগরীর পরিবাগের বিটিসিএল ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ টিএন্ডটি শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেল ইউনিয়ন(সিবিএ) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দী, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম খান, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরি সভাপতি ফজলুল হক মন্টু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ মোট ২৪ জন নিহত হয় এবং আহত হয় কয়েকশ’ নেতা-কর্মী।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার বিচারকে যেমন ধামাচাপা দেয়া সম্ভব হয়নি তেমনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাকেও ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার চলছে। আশা করি, শীঘ্রই এ মামলার রায় হবে। জনগন এ মামলার রায়ও কার্যকর দেখতে পাবে।
হানিফ বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতা তারেক রহমান হত্যাকারী হিসেবে আদালতের কাঠগড়ায়। আর তাই বিএনপিও খুনীদের দল ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিএনপি-জামায়াত দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীসহ দেশের মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ অশুভ শক্তির মুলোৎপাটন করতে হবে। তাইলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান জানানো হবে।