
দন্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকদের মধ্যে আশিকুর রহমান নরসিংদীর পলাশ থানার বাগমারা গ্রামের মৃত কুদ্দুস আলীর পুত্র, ইলিয়াছ একই গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র, রুমিন একই গ্রামের সিরাজ শেখের পুত্র, রবিন একই গ্রামের হানিফার পুত্র, ইব্রাহিম একই গ্রামের মন্টু মিয়ার পুত্র এবং আব্দুর রহমান একই গ্রামের আব্দুস সালাম মিয়ার পুত্র।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৩ মে নরসিংদীর পলাশ থানার বাগপাড়া গ্রামে অবস্থিত প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর ফার্নিচার-২’র এক মহিলা কর্মচারী তার অফিসের প্রাত্যহিক কাজ শেষ করে একই গ্রামের মুক্তা ভিলায় তাদের নিজস্ব মেসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। বেলা আড়াইটায় জনতা মিল গেইটের সামনে পৌছলে ধর্ষক আশিকুর, ইলিয়াছ ওরফে শফিকুল, রুমিন, রবিন, ইব্রাহিম ও আব্দুর রহমান তাকে ধরে জোরপূর্বক পার্শবর্তী একটি নির্যন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় রুমিন তার মোবাইলে ধর্ষণক্রিয়ার ছবি ধারণ করে রাখে। এসময় তাকে সহযোগিতা করে ধর্ষক ইব্রাহিম ও আব্দুর রহমান। ধর্ষণের শিকার ওই মহিলা কর্মচারী এই ঘটনা প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপক ডিপিএল (এ্যাডমিন) এএসএম সাদেকুল ইসলামকে জানালে তিনি কোম্পানীর উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করেন।
উর্ধতন কর্মকর্তাগন এব্যাপারে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিলে সহকারী ব্যবস্থাপক এএসএম সাদেকুল ইসলাম কোম্পানীর ডেপুটি ম্যানেজার মোঃ কামাল হোসেন, এজিএম মোঃ ফজলে রাব্বী এবং ধর্ষণের শিকার কর্মচারীকে নিয়ে পলাশ থানায় গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পলাশ থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৬ ধর্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
দাখিলকৃত চার্জশীট অনুযায়ী ১২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষগ্রহণ ও পর্যালোচনা শেষে বিজ্ঞ বিচারক শামীম আহম্মদ গতকাল মঙ্গলবার এক জনাকীর্ণ আদালতে উল্লেখিত ৬ ধর্ষকের ফাঁসি ও অর্থদন্ডাদেশ ঘোষণা করেন। বিজ্ঞ বিচারক তার রায়পত্রে ধর্ষকদেরকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া আসামীগনকে রায় ঘোষণার ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে আপিল করার সুযোগ দিয়েছেন। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা এবং অ্যাডভোকেট একেএম ওয়ালিউল্লাহ। আসামী পক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট এমএ আউয়াল, অ্যাডভোকেট মিঠু এবং অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান।