Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2kখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৬:  আমেরিকার একাধিক ব্লগ, ফেসবুকসহ দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তেলাপিয়া মাছের বিরুদ্ধে অবৈজ্ঞানিক ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে গতকাল ঢাকায় ‘তেলাপিয়া মাছের উৎপাদন ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক সেমিনারে বলা হয়, বাংলাদেশের তেলাপিয়া মাছে কোনো প্রকার ক্যান্সার বা স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ বিষাক্ত দ্রব্য নেই এবং এই মাছ খাওয়া শতভাগ নিরাপদ। আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশের তেলাপিয়া মাছের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বাংলাদেশেও প্রচার করায় জনমনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, যা যুক্তিহীন। ফলে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশের বিভিন্ন এলাকার ৫০টি তেলাপিয়া মাছের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পরীক্ষা করে ১টি নমুনাতেও কোনো রূপ ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য খুঁজে পায়নি।

আমেরিকাসহ চীনের তেলাপিয়ায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী দ্রব্য পাওয়া গেলেও বাংলাদেশের তেলাপিয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং ভয়ের কোনো কারণই নেই বলে বক্তারা আশ্বস্ত করেন।

সেমিনারে বলা হয়, বিশ্বে চাষযোগ্য মাছের মধ্যে তেলাপিয়ার অবস্থান দ্বিতীয় অর্থাৎ কার্পজাতীয় মাছের পরেই এর স্থান। আর বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বে তেলাপিয়া মাছ-উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে সপ্তম। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিশ্বে তেলাপিয়ার উৎপাদন ছিল ৪ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন টন, যা বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের শতকরা ৯ দশমিক ৪৪ ভাগ। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে এ মাছের উৎপাদন ছিল মোট ২০ হাজার মেট্রিকটন এবং ২০১৫ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৮ লাখ মেট্রিকটন, যা আমাদের মোট মৎস্য-উৎপাদনের শতকরা ১০ ভাগ। তেলাপিয়ার ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে দেশে গড়ে উঠেছে ৫০০টি তেলাপিয়া মাছের হ্যাচারি এবং এসব হ্যাচারি থেকে বছরে প্রায় ৬০০ কোটি পোনা উৎপাদিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৮৬ সালে প্রথম তেলাপিয়া নিয়ে গবেষণা শুরু করে এবং ২০০৫ সালে মালয়েশিয়া থেকে গিফট নামক তেলাপিয়া মাছ আমদানি করে এর উন্নয়ন ঘটায় এবং সারাদেশের মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়। এই তেলাপিয়া ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পায়।

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তেলাপিয়া বিশেষজ্ঞ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এইচ এম কোহিনুর।