খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৬: আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, রামপাল বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে সুন্দরবন ও পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না- বিশেষজ্ঞরা এমন মতামত দেওয়ার পরই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের ক্ষতি করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোন কাজ হবে না, দেশবাসীও তা ভালো করে জানে। অথচ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের উন্নয়ন চান না বলেই রামপাল বিদ্যুত্ প্রকল্পের বিরোধিতায় নেমেছেন। এই খালেদা জিয়াই দেশের উন্নয়নের জন্য সাহায্য বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ব ব্যাংককে চিঠি দিয়েছিলেন। জনগণ এটা মনে রেখেছে। আসলে দেশের উন্নয়ণ ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন উনি সহ্য করতে পারছেন না।
বুধবার বিকালে জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আপনি রামপাল বিদ্যুত্ প্রকল্প বন্ধের আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বাংলার মানুষ আপনার আন্দোলন দেখেছে। আপনার আন্দোলন মানে আগুন-সন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারা। এই সন্ত্রাস থেকে নিরীহ নারী, শিশু এমনকি অন্তঃসত্ত্বা মহিলা পর্যন্ত রেহাই পায়নি। আপনার সেই আন্দোলনের সময় দেশের হাসপাতালগুলো আগুনে পোড়া মানুষের কান্না ও আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছিল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জামায়াতকে সঙ্গে রেখে ভারতের বিরোধীতা করাই খালেদা জিয়ার মূল কৌশল। এজন্য তিনি রামপাল বিদ্যুত্ কেন্দ্র প্রকল্প বন্ধের আন্দোলনে নেমেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ছিটমহল সমস্যা নিস্পত্তি করে ৬২ বছরের পরাধীনতা ঘুচিয়েছেন, ভারতের দখলে থাকা জমি পুনরুদ্ধার করেছেন, পানিচুক্তি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা জয় করেছেন। খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন না করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। সেই নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে এবং শেখ হাসিনার অধীনে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সম্প্রতি কান্না প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট ও আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনায় আপনি কী একদিনও কেঁদেছিলেন? বরং এসব অপরাধীদের বিচারের বিরোধীতা করছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার নিন্দা জানাতেও বিএনপিকে দেখা যায়নি। আর যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায়ের পর সবাই আনন্দিত হলেও আপনাদের কষ্ট লেগেছে। আপনারা কোন প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারেননি। তাই আপনার ওই কান্না শোভা পায় না।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা.এসটিএম আবু আজমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, ডা. জুলফিকার আলী লেলিন, অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।