খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৬: বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত ও ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটনে একটি ‘কমিশন’ গঠন করতে হবে। ’৭৫’র ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনাকে সেনাবাহিনীর একটি অংশের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হিসেবে অভিহিত করেন অনেকে। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়, ফিরে আসে সেই ঘৃণা, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় উন্মাদনা যা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
গতকাল ঢাকায় গণপূর্ত ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান খান হান্নান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা ছিলো মুক্তযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেশের গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতাকে সমূলে উৎপাটন করার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। অনেক দুর্গম ও রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের অন্তহীন প্রয়াস অব্যাহত। এ ধারাকে কেউ আর যাতে চক্রান্তের মাধ্যমে ব্যাহত করতে না পারে সে জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের শক্তিকে চিহ্নিত করে দেশবাসীর কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচনের জন্যই কমিশন গঠন প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাংলার মাটি থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধু আজও মানুষের হৃদয়ে অম্লান। তাঁকে শুধু স্মরণ নয় অনুসরণ করতেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নই হবে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন।