Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

7kখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৬: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে না পারলে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে উন্নয়নের বাইরে রেখে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হতে পারবে না। নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ার অডিটোরিয়ামে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ‘ম্যানেজিং ভায়োল্যান্স এগেইনস্ট উইমেন এন্ড চিলড্রেন’ নামে একটি ওয়েব-বেইজড সিস্টেমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী চুমকি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নারীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতি বিভাগ জেলা ও উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার নারীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশি বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেম-এর সহযোগিতায় নারী ও শিশুকে দ্রুততার সাথে সহযোগিতা করা এবং সার্বক্ষণিক ট্র্যাকিং করার মাধ্যমে স্বচ্ছ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের সুবিধাসংবলিত বিশেষ ওয়েব-বেইজড সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। ‘ম্যানেজিং ভায়োল্যান্স এগেইনস্ট উইমেন এন্ড চিলড্রেন’ ওয়েব-বেইজড এপ্লিকেশন ওয়েবসাইট www.vawcms.gov.bd।

উল্লেখ্য দেশের যেকোন প্রান্তের নারী ও শিশু মোবাইল, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মাধ্যমে ঘরে বসেই অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে অভিযোগ করতে পারবে। পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার নারী বা শিশুর সমস্যা দ্রুত নিরসনে নিজ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক ব্যক্তিরাও সার্বক্ষণিক ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তা নিস্পত্তি করতে পারবেন।

এই বিশেষ ওয়েব অ্যাপে ম্যাজিস্ট্রেট, ডিসি, টিএনও, ওসি, উপজেলা ও জেলা নারী বিষয়ক কর্মকর্তা ও মহিলা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এর অ্যাকসেস থাকবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পারিবারিক মূল্যবোধের অভাব এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে নারী ও শিশু সুরক্ষার ঝুঁকি বাড়ছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ ধরনের ঝুঁকি কমানো যায়।