খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৬: সুমন হত্যাকান্ডের ঘটনাটি মোবাইল ফোনের কল লিষ্ট এবং মোবাইল চার্জিংয়ের বিষয়টি তদন্ত করিলে বেরিয়ে আসবে তার আসল হত্যাকারী কে এমন অভিযোগ এনে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন জানিয়েছেন আসামী পক্ষের ভাই হাজী মোঃ বারিক মিয়া ওরয়ে আব্দুল হান্নান। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোঃ হারুণ অর রশিদ বরাবরে এ আবেদনটি করেন। আবেদনের বিবরনে জানাযায়, সুমন হত্যা মামলায় আমার দুই ভাই দুই ভাতিজাসহ ১৪ জনতে বিবাদি করে আদালতে মামলা দেয়া হয়। কিন্তু মোবাইল কল লিস্ট এবং কল চার্জিংয়ের বিষয়টি তদন্ত করলে আসল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যেই এই আবেদন। গত ১৫ জুন সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের বাশখলা গ্রামের ছুরত আলীর স্ত্রী আফিয়া বেগম আমলগ্রহনকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একই গ্রামের আবেদকারীর ভাই আব্দুর রশিদসহ তার ১৪ কে আসামি করে একটি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন ছাতক পৌর সভার বাশখলা গ্রামে কোন সংঘর্ষ বা মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। ওই দিন হয়রানিমূলক মামলার বাদিনী আফিয়া বেগমের ছেলে সুমন মিয়া(২৫) তার বাবা,ভাই ও মায়ের নির্যাতনের কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এদিকে গত ২৩ জুন আমলগ্রহনকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ছাতক) আদালতে নিহত সুমনের স্ত্রীর রতœা বেগম বাদি হয়ে নিহত সুমনের পিতা সুরত মিয়া(৫০) ও তার ছেলে রিপন মিয়া(২৮), তার সহোদও মখন মিয়া(২২)সহ ৬ জনকে আসামী করে আমল গ্রহনকারী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাতক জোনে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
পিটিশনে রতœা বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামী সুমনকে তার শশুড় ছুরত আলী,চাচা কামাল, চাচাতো ভাই ইসাক সুমনের আপন ভাই রিপন মিয়া ও মখন মিয়াসহ পরিবারের লোকজন প্রায়ই বিভিন্নভাবে রতœা বেগমকে নির্যাতন করত। স্ত্রীর উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করলে পরিবারের লোকজন সুমনকেও মারপিট করত। গত ৮ জুন বিকেল ৫টায় সুমনের বাবা, ভাই সুমনকে মারপিট করে। এ অপমান সহ্য করতে না পেরে সুমন আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী রতœা বেগম তার স্বামী সুমনকে তার শশুড় ছুরত আলী,চাচা কামাল, চাচাতো ভাই ইসাক সুমনের আপন ভাই রিপন মিয়া ও মখন মিয়াসহ ৬ জনকে আসামী কওে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত এ পিটিশন মামলাটি গ্রহন করে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে ছাতক থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আশেক সুজা মামুন জানান, আদালতের নির্দেশে সুমনের স্ত্রী ও মায়ের দায়ের করা পৃথক দু’টি কোর্ট পিটিশন একত্র করে তদন্ত করা হচ্ছে।