Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৬ আগস্ট ২০১৬: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিন মাসও বাকি নেই। খুব একটা সুবিধায় নেই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতীয় জনমত জরিপগুলোতে ক্রমেই ধস নামছে। এমনকি ভার্জিনিয়া, ওহিয়ো এবং পেনসিলভানিয়ার মতো দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতেও ট্রাম্পের অবস্থান ঝুঁকির মুখে।

কিন্তু এখনও আশাহত নন ট্রাম্প সমর্থকরা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের এক স্থান থেকে সবুজ সংকেতের আশায় আছেন তারা।
রিপাবলিকানরা আশা, দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য ওই দূরের ইশারায় দোদুল্যমান ভোটারদের ভো পেতে সমর্থ হবে রক্ষণশীলরা। এ জন্য মধ্য ইসরাইলের মোদিন এলাকায় বড় ধরনের শোডাউন দিয়েছে আমেরিকান-ইসরাইলি রিপাবলিকানরা।
‘ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগানের লোগোর সঙ্গে মিলিয়ে লাল-সাদা এবং নীল বেলুন উড়িয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে ইসরাইল প্রবাসী রিপাবলিকানদের প্রধান মার্ক জিল বলেন, ‘বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসন আমলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আগুন লেগেছে। ইসরাইল-মার্কিন সম্পর্ক তলানিতে নেমে এসেছে। মার্কিন-ইসরাইল উষ্ণ সম্পর্ককে আবারও পুনর্জীবিত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’
সিএনএন জানায়, ২০১৫ সালে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করে মার্কিন কংগ্রেসে ওবামাবিরোধী বক্তব্য দিয়েছিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওবামাকে চুক্তি সম্পাদন করা থেকে বিরত রাখার জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি সেসময় আহ্বান জানান তিনি।
ফ্লোরিডার ভোটার দেবোরা গ্রফি মনে করেন, এই ঘটনার সুযোগ নেবে ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ওবামা ইসরাইলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেনি। এক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থের জন্য ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকতে পারে ইসরাইল।’
এদিকে রিপাবলিকানরা মনে করে, তারা যদি ইসরাইলি ভোটারদের সব ভোট জিততে পারে তাহলে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে জিতে যাবে তারা। ২০০০ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ এদের সাহায্যেই ফ্লোরিডায় জিতেছেন এবং চূড়ান্তভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এমনকি ২০১২ সালে ওবামার বিরুদ্ধে নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ ইসরাইলির ভোট পেয়েছেন মিট রমনি।
‘আই ভোট ইসরাইল’ সংস্থার মতে, যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ ইসরাইলি ভোটার আছে।
কিন্তু সিএনএন জানায়, ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ইতিমধ্যে ১০ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ট্রাম্পের থেকে। অন্যদিকে ইসরাইলিদের রিপাবলিকান প্রীতির ধারাবাহিকতায় এবার ব্যতিক্রম কিছু ঘটার সম্ভাবনাও রয়েছে। ২০১৩ সালের পিউ রিসার্চে দেখা যায়, ৭০ শতাংশ ইহুদি ডেমোক্রেটদের ভোট দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি কেকেকে এবং আমেরিকান নাৎসি পার্টি ট্রাম্পের পক্ষে কথা বলায় মনোক্ষুণ্ণ হয়েছে ইহুদিরা। তারা একদিকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারিকে পছন্দ করছে না। আবার ট্রাম্পকে পাগলাটে অভিহিত করে তার ওপর আস্থাও রাখতে পারছে না।
দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে নিয়েই ইসরাইলিরা অসুখী বোধ করছে। তবে উপায় নেই, এর মধ্য থেকেই এখন একজনকে বেছে নিতে হবে!