দুটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর অভিযোগ করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের ষড়যন্ত্র করছে সরকার, যা নোংরা রাজনীতিরই অংশ।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হবে না, আগামীকালের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এমন ঘোষণা দেবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা জানতে পেরেছেন মন্ত্রিসভা কমিটিতে জিয়ার স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, যাঁরা গায়ের জোরে নোংরাভাবে জিয়ার কীর্তি মুছতে চাচ্ছেন, তাঁরাই একদিন মুছে যেতে পারেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জাতিকে বিভাজনের রাজনীতি থেকে একত্রিতও করেছিলেন তিনি। তবে সরকার আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। স্বাধীনতা পদক প্রবর্তন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এখন তিনি বাদ যাবেন, তার সম্মান থাকবে না কিন্তু তার কীর্তি থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে গোটা জাতি বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকার তার অবদানের জন্য তাকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষও জিয়াউর রহমানকে তখন থেকেই চেনে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি ২০০৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক হিসেবে স্বাধীনতা পদক দেন। এটা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরম ঔদার্যের দৃষ্টান্ত।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে রাজনীতি করছে, তাতে তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।