Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৬ আগস্ট ২০১৬: 2016-08-26_4_544953সীমান্ত নদী ইছামতি এবং ওপারের দামোদর নদীর পানি ও টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে বেনাপোল সীমান্তের বাহাদুরপুর, গোগা ও ডিহি এলাকার ২৩টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়ায় বহু পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়েছে।

ওই এলাকার সবজি, ঘের ও ফসলের ক্ষেত পানির নীচে। স্বরবাংহুদা ব্রিজ তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার। কৃষক, শিক্ষার্থী, রোগী ও মহিলারা পড়েছেন মহাদুর্ভোগে। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাদের।
রঘুনাথপুর গ্রামের বৃদ্ধা ইনসার আলী ও সুফিয়া খাতুন জানান, পানিতে তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে এলাকায়। বাচ্চা-কাচ্চা, গবাদি পশু নিয়ে মহাদুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
সাদিপুর গ্রামের আরিফুজামান ভাদু বলেন, ‘প্রতিদিন পানি বাড়ছে। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।’
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য সাকের আলী ও নারী সদস্য চায়না খাতুন বলেন, ‘আমাদের পুরো এলাকা প্লাবিত হলেও দুর্গতদের পাশে এসে কেউ দাঁড়ায়নি।’
ঘিবা গ্রামের ইসহাক, ইসমাইল ও ফজের আলী বলেন, ‘ব্রিজ তলিয়ে যাওয়ায় স্কুলে যেতে পারছে না ছেলেমেয়েরা। নদী-খালে বাঁধ, সরকারি জলমহাল বেদখল, অপরিকল্পিত ভেড়িবাঁধের কারণে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বাড়ছে সীমান্তনদী ইছামতির পানির চাপ। মাঠ-ঘাট ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত ও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তারা।’
বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, ইউনিয়নের ১২ গ্রাম পরিদর্শন করেছেন তিনি। তলিয়ে গেছে হাজারো ঘরবাড়ি। স্বরবাংহুদা ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতু নির্মাণসহ এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানান, এই জনপ্রতিনিধি।
শার্শা উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা আসমা বলেন, ‘আউশ, আমন ও সবজি ক্ষেতসহ উপজেলার দেড় হাজার হেক্টর কৃষিক্ষেত ও অর্ধশত ঘের তলিয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।’
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উপজেলার প্রতিটি গ্রামের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। বন্যা উদ্ভূত পরিস্থিতির ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্য চাওয়া হয়েছে। তলিয়ে যাওয়া এলাকার তালিকা প্রণয়নের জন্য চেয়ারম্যানদেরকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে।’