খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৬: ওষুধ ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থানের ‘দেওয়ান বাড়ি’ নামের তৃতীয় তলার দুটি ফ্লাট ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা।
বাড়ির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ান পুলিশকে এ তথ্য দেন।
নুরুদ্দিন দেওয়ান জানান, ওষুধ ব্যবসায়ী পরিচয়ে গত রমজান শেষে তার বাড়ির তৃতীয় তলার দুটি ইউনিট ভাড়া নেন কয়েকজন ব্যক্তি।
শনিবার অভিযান পরিচালনার আগে নুরুদ্দিন দেওয়ানকে সেই বাড়ি থেকে নিরাপদে সরিয়ে আনে পুলিশ। পরে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট ১০টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ওই বাড়িতে ‘অপারেশন হিট স্ট্রং টুয়েন্টি সেভেন’ নামে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট।
অভিযানে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়েছেন।
অভিযান শেষে আইজিপি একেএম শহীদুল হক ব্রিফিংয়ে জানান, গুলশান ও কল্যাণপুরের অভিযানের পর জঙ্গিরা ঢাকা ছেড়ে নারায়ণগঞ্জে আস্তানা গেড়েছিল।
তিনি বলেন, ‘গুলশান ও শোলাকিয়াসহ বিভিন্ন জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। সিরিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সে বাংলাদেশে আসে।’
আইজিপি বলেন, ‘গুলশান ও শোলাকিয়াসহ দেশে যতগুলো জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার সবগুলোই এই তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে নিউ জেএমবি ঘটিয়েছে। আমরা তামিম চৌধুরীকে খুঁজছিলাম। পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারি তামিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছে। সেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সোয়াত টিম, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালিয়েছে।
অপারেশনের আগে যা যা প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজন ছিল, সেগুলো সম্পন্ন করা হয়েছিল বলেও জানান শহীদুল হক।