খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৬: জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি বাজার এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের ও তার ছেলে পৌর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রাশেদুজ্জামান শাহীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাস কাউন্টার বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অজ্ঞাত একদল সন্ত্রাসী বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা।
অভিযোগে জানান যায়, দেড় যুগ ধরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের ও তার ছেলে পৌর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রাশেদুজ্জামান শাহীন বাউসি বাজারে মেসার্স শাহীন স্টোর এন্ড টেলিকম নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এখানে বিভিন্ন মালামাল বিক্রিসহ যাত্রীবাহী বাসের টিকেট কাউন্টার স্থাপন করা হয়। এ কাউন্টারে সিফাত এন্টারপ্রাইজ, বুড়িগঙ্গা স্পেশাল, রাজিব রাইটা, রাজিব পরিবহণ, মাদারগঞ্জ স্পেশাল ও রাহাত এন্টারপ্রাইজসহ কয়েকটি বাস প্রতিদিন ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে যাতায়াত করতো। এতে সরিষাবাড়ী ও পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার শত শত যাত্রী প্রতিদিন সড়কপথে সহজে যাতায়াত সুবিধা পেয়ে আসছিল। কিন্তু কারন ছাড়াই সম্প্রতি কাউন্টারটি জেলা সদরের অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা বন্ধ করে দেয়। এতে যাত্রীসেবা বন্ধ হয়ে পড়ে। হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়ায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের জানান, তার ছেলে শাহীন পরিবহণ সংগঠন-৮২২‘র সদস্য। এছাড়া বৃহত্তর ময়মনসিংহের মধ্যে সে প্রথম মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশ চালু করে সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছে। কিন্তু সরলতার সুযোগে স্থানীয় এবং বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতিকারী ব্যবসার নামে লেনদেন করে তার প্রায় ২৬ লাখ টাকার লোকসান করায়। টাকাগুলো তোলার চেষ্টা করায় ওই দুষ্কৃতিকারীরা মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা ও তার ছেলেকে নেশাখোর বলে অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানী শুরু করে এবং টিকেট কাউন্টার বন্ধ করে দেয় তারা। এতে টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ফলে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে ওই পরিবারকে।
রাশেদুজ্জামান শাহীন বলেন, ব্যবসা ও কাউন্টার বন্ধ করা ছাড়াও সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন তারা। পরে বাধ্য হয়ে তার বাবা থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন।
জেলা বাস পরিবহণের সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু কাউন্টার বন্ধ করার কথা স্বীকার করে বলেন, শাহিনের বিষয়ে কিছু অভিযোগ ছিল, তাই কাউন্টার করা হয়েছে। তবে কোন ছাড়াই কাউন্টারটি বন্ধ করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, শাহীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার বিচার হবে, তাই বলে কাউন্টার বন্ধ থাকতে পারে না।
থানার ওসি (তদন্ত) তাওহিদুর রহমান বলেন. শাহীন আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ। সে অন্যের কাছে অনেক টাকা পাবে, বিষয়টি আমরা জানি। এটা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।