Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
Farakkaখোলা বাজার২৪,সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০১৬: ভারতের সরকার অসময়ে ফারাক্কার অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় গভীর উদ্বেগ-উৎকন্ঠা প্রকাশ করে এবং তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, অসময়ে ফারাক্কার গেইটগুলো খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অকাল বণ্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা। প্রতিদিন নিত্য নতুন গ্রাম বণ্যার কবলে নিপতিত হচ্ছে। বন্যাকবলিত গ্রামগুলো এখন দুর্ভোগ আর আতঙ্কের জনপদে পরিনত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ফারাক্কা বাঁধের সকল গেট খুলে দেয়ার কারণে প্রায় গোটা বাংলাদেশ বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে। ফলে অসংখ্য মানুষ ঘর-বাড়ী, জমির ফসল হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে। বন্যায় গবাদী পশু ও গৃহপালিত হাঁস-মুরগির ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। নদীর ভাংগনে বহু ঘর-বাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বন্যায় বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

নেতৃদ্বয় ফারাক্কা বাঁধ সমস্যার ন্যায়সংগত সমাধানের দাবী জানিয়ে বলেছেন, ভারতের ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মরণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যার ন্যায় সংগত ও আশু সমাধানই বাংলাদেশের জনগণের প্রাণের দাবি। গংগার পানির ন্যায্যহিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যেই ভারত এক তরফাভাবে গঙ্গানদীর উপর ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করেছে। ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ৪১ দিনের জন্য ভারত সরকার পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধটি চালু করেছিল। সেই সময় আজও শেষ হয়নি। ফারাক্কা বাঁধের সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক প্রভাব উপলব্ধি করতে পেরেই বাংলাদেশের জনগন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা বাঁধের প্রতিবাদে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চ করেছিলেন।
বিবৃততে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বাংলাদেশের শাসকগোষ্টি কখনো সোচ্চার নন। ভারতের পানি আগ্রাসন রুখতে হলে ১৬কোটি মানুষের ঐক্যকে শক্তিতে পরিনত করতে হবে।