
ঢাকায় কেরির নয় ঘন্টার ব্যস্ত সফরকালে তিনি প্রথম বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
জন কেরি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন বইতে মন্তব্য কলামে লিখেন, কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসীরা এক মেধাবী ও সাহসী নেতৃত্বকে বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ আজ তাঁর কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় সমর্থক। আমরা শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করা জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি।
জন কেরি, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটকে সঙ্গে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে যান। সেখানে তিনি সকাল ১১টা ৪২ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৫ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করেন।
সেখানে অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও শেখ রেহানার ছেলে রেজোয়ান সিদ্দিক ববি, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য-সচিব শেখ হাফিজুর রহমান ও জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান তাকে অভ্যর্থনা জানান।
হাফিজুর রহমান পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, জন কেরি গভীর মনোযোগ দিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংসতার চিহ্ন দেখেন এবং তিনি বাড়ির চারপাশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখে মর্মাহত হন।
রহমান বলেন, কেরি বাড়িটিতে বঙ্গবন্ধুর পাঠকক্ষ, বেডরুম ও রক্তমাখা সিঁড়িতে নৃশংসতার চিহ্ন দেখে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সংঘটিত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকা-ের বিবরণ জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেন।
তিনি বলেন, কেরি বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সফল এবং আগামী দিনে মার্কিন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।