“আটক করার পর তাকে নীলফামারির ডোমারে র্যাবের একটি ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। সকালে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিশা (১৪) গত বুধবার স্কুলের সামনের ফুটওভারব্রিজে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে আহত হয়। তিনদিন পর রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় রিশার মা তানিয়া বেগম রমনা থানায় একটি মামলা করেন, যাতে এলিফ্যান্ট রোডের বিপণি বিতান ইস্টার্ন মল্লিকার বৈশাখী টেইলার্সের কর্মী ওবায়েদকে আসামি করা হয়।
তানিয়া বেগম পুলিশকে বলেছেন, কয়েক মাস আগে বৈশাখী টেইলার্সে একটি জামা বানাতে দিয়ে যোগাযোগের জন্য সেখানে তিনি নিজের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। সেই থেকে ওবায়েদ ওই নম্বরে ফোন করে প্রায়ই রিশাকে বিরক্ত করে আসছিলেন।
ওবায়েদই সেদিন রিশাকে ছুরি মেরেছিল বলে তানিয়া বেগমের ধারণা।
ওবায়েদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জে। ঢাকায় তার সন্ধান না পেয়ে রমনা থানা পুলিশ সোমবার রাতে বীরগঞ্জ থানার সহযোগিতায় মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামের বাড়ি থেকে ওবায়েদের বোন খাদিজা বেগম (৩৬) ও ভগ্নিপতি খাদেমুল ইসলামকে (৪৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।