Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

07baedcc20bbf867c88dcdd2968407cb-57387363105ebখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, রানাপ্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনে দুর্ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের বিরুদ্ধে প্রতিযোগীরা বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছে।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের নীতি সহায়তা, উদ্যোক্তাদের সাহস এবং দক্ষ শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশ ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তৈরি পোশাকখাতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে।

শিল্পমন্ত্রী আজ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড আয়োজিত তৈরি পোশাক শিল্পখাতের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক ‘১৭তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৬’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।

রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন।কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মেহেরুন এন. ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. আদর্শ সুয়েকা, এফবিসিসিআই’র প্রথম সহ-সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এ এইচ আসলাম সানি বক্তব্য রাখেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তৈরি পোশাক শিল্পখাতে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছিল। এটি ফিরে পেতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রম নিরাপত্তা জোরদার, পেশাগত ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলা, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ এবং কারখানা পরিদর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল না হলেও বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম এবং গোটা পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে এ শিল্পখাত থেকে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি রপ্তানি হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পখাতের রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাতে বিদ্যমান ব্যাপক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনে দুর্ঘটনার পর আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কমপ্লায়েন্স অনুযায়ী বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক কারখানার উন্নয়নে উদ্যোক্তারা ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে গত বছর তৈরি পোশাকখাতে শতকরা ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। পাশাপাশি এ শিল্পখাতে শতকরা ৪০ ভাগ মূল্য সংযোজন হচ্ছে। তারা তৈরি পোশাকখাতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরবছিন্ন গ্যাস সরবরাহ, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন এবং সরকার গৃহিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেন।উল্লেখ্য, চার দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। এতে বিশ্বের ২৩টি দেশের ১ হাজার ৫০টি কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। এসব কোম্পানি তৈরি পোশাক শিল্পখাতে উদ্ভাবিত সর্বশেষ প্রযুক্তি, ফেব্রিক্স, ডাইং ও কেমিক্যাল প্রদর্শন করছে।

প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ১২ বছর বয়সোর্ধ্ব সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর ফলে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পখাতে আধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।