পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইনভেস্টিগেশন অন দ্য কজ অফ ডেথ অ্যান্ড আদার ম্যাটার্স অফ দ্য লেইট সুভাষ চন্দ্র বোস’ শিরোনামের এই প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার প্রকাশ হয়েছে বলে বোসফাইলস ডট ইনফো নামের যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে।
জাপানি কর্তৃপক্ষের গোপনীয় ওই নথির অনুলিপি এতদিন ভারত সরকারও লুকিয়ে রেখেছিল।
“১৯৫৬ সালের জানুয়ারিতে প্রতিবেদনটি সম্পন্ন হয় এবং তা টোকিওতে ভারতীয় দূতাবাসে জমা দেওয়া হয়। তারপর থেকে এটি গোপনীয় নথি হিসেবে থাকে, কোনো পক্ষই তা প্রকাশ করেনি,” বলেছে ওয়েবসাইটটি।
জাপানিজে সাত পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন এবং ইংরেজি অনুবাদে ১০ পৃষ্ঠার শেষে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় যে, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হন নেতাজি এবং সেদিন সন্ধ্যায় তাইপের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
“উড়ালের পরপরই বিমানটি, যাতে তিনি (বোস) উঠেছিলেন, ভূপাতিত হয় এবং তিনি আহত হন,” বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, বিকাল ৩টার দিকে তাইপে আর্মি হাসপাতালের নানমোন শাখায় নেতাজিকে নেওয়া হয় এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এরপর ২২ অগাস্ট তাইপেতেই নেতাজির শেষকৃত্য হয়।
সুভাষ চন্দ্র বোসের জন্ম ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি।
ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী দল কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন তিনি। তারপর এক সময় হতাশ হয়ে কংগ্রেস ছাড়েন। গড়ে তোলেন নতুন দল ফরোয়ার্ড ব্লক।
ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াইয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এক পর্যায়ে ভারত থেকে জার্মানি পালিয়ে যান সুভাষ বোস। সেখান থেকে পরে যান জাপানে। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পিটিআই বলছে, সুভাষ বোসের অন্তর্ধান তদন্তে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর গঠিত শাহ নেওয়াজ খান নেতৃত্বাধীন কমিটির তদন্তের ফলকেই সমর্থন করছে জাপান সরকারের এই নথি।
নেতাজিকে নিয়ে ১৯৫৬ সালে তদন্ত করেছিল ভারতের ওই কমিটি।