Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
index
খোলা বাজার২৪, শনিবার,০৩ সেপ্টেম্বর  ২০১৬:উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ মারা গেছেন বলে কুটিৈনতিক সূত্রে জানা গেছে।

অন্তত তিনটি কূঠনৈতিক সূত্র ৭৮ বছর বয়সী করিমভের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে সরকারে পক্ষ থেকে এখনো এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
শুক্রবার সকালে সরকারের পক্ষ থেকে তার স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতির কথা জানানো হয়েছিল। করিমভ গত শনিবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট করিমভ মারা গেছেন এবং তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। কিন্তু উজবেকিস্তান থেকে এব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোন সরকারি ঘোষণা আসেনি।
প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভের স্বাস্থ্য নিয়ে তীব্র জল্পনা-কল্পনা চলছে গত কয়েকদিন ধরে।
উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রথম তার গুরুতর অসুস্থতার খবর দিয়ে বলা হয়, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় তার অবস্থার অবনতি ঘটেছে।
ইসলাম করিমভ গত ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে উজবেকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় বয়েছেন। তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইসলাম করিমভের নিজের শহর সমরখন্দের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। সেখানে এমন জল্পনা চলছে যে এসব তাকে শেষ বিদায় জানানোর প্রস্তুতি।
এদিকে কাজাখাস্তানের প্রেসিডেন্ট নুর সুলতান নাজারবায়েভ তার চীন সফর সংক্ষিপ্ত করে উজবেকিস্তান যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসা উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সাবেক কমিউনিস্ট নেতা ইসলাম আবদুগানিয়েভিচ করিমভ। উজবেকিস্তানে সেটাই ছিল সর্বশেষ সত্যিকারের নির্বাচন।
ক্ষমতায় আসার পর তিনি সমালোচক এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের জেলে ভরতে শুরু করেন, নির্বাসনে পাঠান অনেককে।
কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে সন্দেহে হাজার হাজার মুসলমানকে তিনি কারাবন্দী করেন। তিনি দাবি করেন যে উজবেকিস্তান তাদের মতো করে গণতন্ত্রের চর্চা করছে।
তবে এই গণতন্ত্রে বাকস্বাধীনতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার কোন বালাই নেই।
১৯৯৯ সালে ইসলাম করিমভ এক হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান।
কিন্তু এরপর তিনি বিরোধীদের ওপর দমন-নিপীড়ন আরও তীব্র করেন।
২০০৫ সালে আনদিজানে এক সরকার বিরোধী গণবিক্ষোভ দমন করা হয় নির্মমভাবে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানায়, সেখানে শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীকে সৈন্যরা হত্যা করে।
তার অবর্তমানে কে উজবেকিস্তানের হাল ধরবেন সেটা এখন বড় প্রশ্ন। একসময় তার বড় মেয়ে গুলনারাকেই সম্ভাব্য উত্তরসূরী বলে ভাবা হতো।
কিন্তু নানা রকম ব্যবসায়িক কেলেংকারি এবং বিলাসবহুল জীবন যাপনের কারণে তার সেই সম্ভাবনা আর নেই। তাকে এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসেবে এখন যে দুজনের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শাভকাত মিরজিয়ায়েভ এবং ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী রুস্তাম আজিমভ।