Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2016-09-02_2_274120

খোলা বাজার২৪, শনিবার,০৩ সেপ্টেম্বর  ২০১৬: বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রো-কেমিক্যাল শিল্প খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও টেকসই শিল্পায়নের ফলে বাংলাদেশে জ্বালানির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। এক সময় দেশে প্রতিবছর ১ দশমিক ১ মিলিয়ন টন পেট্রোলিয়াম দ্রব্যের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে সাড়ে ৫ মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে। অব্যাহত চাহিদার ফলে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ লাভজনক হবে।’
শিল্পমন্ত্রী গতকাল মুম্বাইয়ের বোম্বে এক্সিবিশন সেন্টারে এক গোল টেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন। ভারতের কেমিক্যাল ও ফার্টিলাইজার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কেমিক্যাল ও পেট্রোকেমিক্যাল বিভাগ এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
এফআইসিসিআই জাতীয় রাসায়নিক কমিটির চেয়ারম্যান দীপক সি মেহতার সঞ্চালনায় বৈঠকে ভারতের কেমিক্যাল ও ফার্টিলাইজার মন্ত্রী অনন্ত কুমার, রসায়ন, সার, সড়ক যোগাযোগ ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মানসুখ এল. মানদাভিয়া, উড়িষ্যা প্রদেশের শিল্পমন্ত্রী দেবী প্রসাদ মিশ্রসহ উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী, কেমিক্যাল ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প উদ্যোক্তা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সবুজ শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে প্রচলিত জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। বিকল্প জ্বালানির উৎস হিসেবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়িয়েছে।
বর্ধিত জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সরকার লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) প্লান্ট স্থাপনের পাশাপাশি আমদানিকৃত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যেও সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে সরকার দেশি-বিদেশি সকল উদ্যোক্তাদের সমান সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ, স্থানীয় ব্যাংক থেকে মূলধনী ঋণ গ্রহণ, স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন (রেসিডেন্সশীপ), শতভাগ মুুনাফা ও লভ্যাংশ স্থানান্তর কিংবা পুন:বিনিয়োগ, শুল্ক অবকাশ, তিন বছর পর্যন্ত ব্যক্তি আয় করের অব্যাহতি, অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভূমি বরাদ্দ, দ্বৈতকর অব্যাহতি, অগ্রাধিকারখাতে বিনিয়োগে নগদ প্রণোদনাসহ বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করছে। এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পখাতে ভারতীয় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।