
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।
মীর কাসেমের স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ বিকেল সাড়ে ৩টায় তাদের দেখা করতে যেতে বলেছেন। পরিবার ও স্বজনদের ২০ থেকে ২২ জন গিয়ে সাক্ষাৎ করবেন তারা বলে জানান তিনি।
মীর কাসেম প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করতে এখন কেবল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা বলে সূত্র জানায়। নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আগে আসামীর সঙ্গে শেষবার দেখা করতে দেয়া হয় পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, দন্ড কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষের আদেশ বাস্তাবায়নে কারা কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত আছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
মীর কাসেম আলীর মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে গত ৩০ আগস্ট আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আপিল বিভাগের ১ নং বিচার কক্ষে জনাকীর্ণ আদালতে এ আদেশ দেয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা ছিলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান। ওই দিনই ২৯ পৃষ্ঠার এ আদেশ প্রকাশ করে আদালত। রায়ের অনুলিপি সুপ্রিমকোর্ট থেকে ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কারাগারসহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠানো হয় এবং ৩১ আগস্ট রায় মীর কাসেম আলীকে পড়ে শুনানো হয়। গত ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত রায় রায় ঘোষণা করেছিলো আপিল বিভাগ। গত ৬ জুন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর সংক্ষব্ধ পক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে রায় রিভিউ আবেদনের সূযোগ পান। সে অনুযায়ি মীর কাসেম আলী রায় রিভিউ আবেদন করেছিলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।