খোলা বাজার২৪, শনিবার,০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে অচিরেই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব হবে। জঙ্গিরা টার্গেট করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ শনিবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের উদ্যোগে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, কোন শিক্ষার্থী টানা ১০ দিন অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবকদের কাছে খোঁজ নিতে হবে। পাঠ্যপুস্তকেও জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক নিবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী ও শান্তিপ্রিয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি তা মেনে নিতে পারেনি। এ কারণে তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করে। এরপর দেশকে উল্টো পথে পরিচালনা করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে আবার যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি ও ভাবমূর্র্তিকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিতভাবে তারা জঙ্গি হামলা চালাচ্ছে।
নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের সৎ, দেশপ্রেমিক ও পূর্ণাঙ্গ ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে হবে।