খোলা বাজার২৪, শনিবার,০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬: পুলিশসহ কেউ চাঁদাবাজি করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন । আজ শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঈদুল আজহাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘হাইওয়ে কিংবা রাস্তায় কোনো পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজি করলে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর বাইরে যেকোনো দলের কিংবা মতের লোক চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সভার শুরুতে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে অভিযোগ করেন, কাগজপত্র তল্লাশির নামে পুলিশ অহেতুক রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চালকদের হয়রানি করে। কাগজপত্র ঠিক না থাকলে মামলা কিংবা জরিমানা না করে এক হাজার টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে। এ ছাড়া রিকুইজিশনের নামেও চালকদের হয়রানি করা হয়।
সভায় মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ঈদের আগে-পরে ছয় দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ না রেখে চার দিন করার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময় শুধু এ ধরনের মতবিনিময় সভার আয়োজন না করে তিন মাস অন্তর একবার সভার আয়োজন করার প্রস্তাব রাখা হয়। এতে মালিক-শ্রমিকেরা তাঁদের সমস্যার কথা সরাসরি বলতে পারবেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) তাঁর বক্তব্যে বলেন, ঈদুল আজহাকে ঘিরে পুলিশ চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে। সাদাপোশাকধারী, ট্রাফিক, গোয়েন্দা ও পুলিশ কাজ করবে। তিনি বলেন, রাস্তাঘাট ও পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীরা যাতে কোনো ধরনের সুযোগ না পায়, সে জন্য সতর্ক থাকবে পুলিশ। রাস্তার ওপর কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না। চামড়া পাচার রোধেও পুলিশ সতর্ক রয়েছে। পশুবাহী কোনো গাড়ি যাতে হাটে নিতে দালালেরা টানাটানি করতে না পারে, সে জন্য ট্রাফিক ও থানার পুলিশকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
গাড়িচালক ও শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী হয়রানি করা যাবে না। চালক ছাড়া কেউ গাড়ি চালাবেন না। ঈদের আগে-পরে সন্দেহ ছাড়া অহেতুক কোনো গাড়ি থামিয়ে পুলিশ তল্লাশি করবে না।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এ কে এম এমরান ভুঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) রেজাউল মাসুদ, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম, আন্তজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ প্রমুখ।