তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধু প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে আগামীতে অমীমাংসিত সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে। বৈরিতা করে কখনও সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয় না। অভিন্ন নদীর পানি বন্টন সমস্যাও আলোচনা করে সমাধান করব।’
মন্ত্রী আজ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগে গান্ধী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট এর নতুন ভবনের শুভ উদ্বোধন এবং গান্ধী মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মিতব্য ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা ও ডেপুটি হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার।
গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সভাপতি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গান্ধী আশ্রমের সচিব ভারত সরকারের পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত শ্রীমতি ঝর্না ধারা চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টী ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা প্রশাসক বদরে মুনীর ফেরদৗস প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, আশ্রমের সমন্বয়কারী রাহা নবকুমার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে হাজার হাজার ভারতীয় সৈন্যের রক্ত মিশে আছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে। ভারতের এ মহানুভবতার কথা কখনও ভুলবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের সাথে বর্তমানে একটি ইতিবাচক কূটনৈতিক অংশীরিত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে হাত রেখে সহিংসতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একসাথে কাজ করব।
ভারতের হাইকমিশনার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ এবং গান্ধী আশ্রম সব ভারতীয়দের কাছে পরিচিত। মহাত্মা গান্ধী শান্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে বড় অবদান রেখে গেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পেরে ভারত গর্ববোধ করেন বলে জানান। তিনি গান্ধী আশ্রমের উন্নয়নের জন্য ১০ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন।
খোলা বাজার২৪,রবিবার,০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬: বৈরিতা করে কখনও সমস্যার সমাধান হয় না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে আগামীতে অমীমাংসিত সব সমস্যার সমাধান করতে হবে।