জিম্বাবোয়ের হারারেতে দেশটির প্রধান বিমানবন্দরে বিমান থেকে নামার সময় মুগাবেকে বেশ উৎফুল্ল দেখাচ্ছিল।
৯২ বছর বয়সী মুগাবে বলেছেন, পারিবারিক কারণে তিনি দুবাই গিয়েছিলেন।
বিমানের তথ্য রেকর্ড অনুযায়ী সেটি পূর্বএশিয়ার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু তার বদলে বিমানটি দুবাই গেলে নানা জল্পনা মাথা চাড়া দেয়।
গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং চিকিৎসা নিতে দুবাই গেছেন। এমনকি তিনি মারা গেছেন বলেও খবর ছড়ায়।
সার্দার ডেইলি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লেখা হয়, ‘রবার্ট মুগাবে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। জিম্বাবোয়ের অর্ন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এম্নানগাগুয়া।’
এমারসন এম্নানগাগুয়া দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু বার্তা সংস্থা জানায়, হারারে বিমানবন্দরে নামার পর মুগাবে স্থানীয় শোনা ভাষায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার এক সন্তানের ব্যাপারে পারিবারিক কারণে আমি দুবাই গিয়েছিলাম।’
মুগাবে তার স্বাস্থ্য নিয়ে শুক্রবারের জল্পনা-কল্পনার জবাবে ঠাট্টা করে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি মরে গিয়েছিলাম, সত্যিই আমি মারা গিয়েছিলাম। কিন্তু বরাবরের মতই আমি আবার বেঁচে উঠেছি। আমার নিজের দেশে যখন আমি পা রেখেছি- তখন আমি আসল।’
গত মে মাসে মুগাবের স্ত্রী গ্রেস বলেছিলেন, ‘রবার্ট মুগাবে কবরে গেলেও সেখান থেকে দেশ শাসন করবেন।’
শনিবার আরও পরের দিকে মুগাবের তরুণদের একটি সমাবেশে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।
মুগাবে ১৯৮০ সাল থেকে জিম্বাবোয়ের ক্ষমতায় আছেন এবং তিনি বলেছেন তিনি ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন।