খেলোয়াড়ী জীবন শেষে তবু নতুন একটি স্বপ্ন ছিল কোর্টনি ওয়ালশের। কোনো আন্তর্জাতিক দলকে কোচিং করানো। বাংলাদেশের বোলিং কোচের প্রস্তাব গ্রহণ করে সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন কিংবদন্তী এ ফাস্ট বোলার।
লম্বা ভ্রমণ শেষে শনিবার রাতে ঢাকায় পা রেখেছেন ওয়ালশ। রোববার দুপুরে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারতে এসেছিলেন বিসিবিতে। পরে মুখোমুখি হলেন সংবাদ মাধ্যমের। জানালেন কেন লুফে নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রস্তাব।
‘সবসময়ই স্বপ্ন দেখতাম একটি আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার। সুযোগটি নিয়ে খুব গভীরভাবে ভাবতে হয়নি আমাকে। এটা এমন একটা কিছু, যা আমি করতে চেয়েছিলাম। এটির অংশ হতে পেরে তাই আমি খুশি।’
তার পরও ওয়ালশের মনে সংশয়ের সামান্য যে দোলাচল ছিল, সেটি দূর হয়ে যায় বিসিবি’র প্রধান নির্বাহীর কথায়। বিসিবি’র আগ্রহের শীর্ষে নিজের নাম জানতে পেরে সিদ্ধান্ত নিতে আর দেরি করেননি ৫৪ ছুঁইছুঁই সাবেক ফাস্ট বোলার।
তিনি বলেন, ‘মনে আছে, যখন নিজামের (বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন আহমেদ) সঙ্গে প্রথম কথা হলো এবং আগ্রহের কথা জানালো, আমি বলেছিলাম একটু ভাবতে দাও।’
‘আলোচনার অগ্রগতি ও পিছুটান চলছিল। কিন্তু যখন সে জানালো যে আমি ওদের প্রথম পছন্দ, তখন সত্যিই গুরুত্ব দিয়ে ভাবলাম। এটা বলে দিচ্ছিল যে, ওদের ক্রিকেটকে ওরা পরের ধাপে নিয়ে যেতে চায়। আলোচনা চলল এবং আজ আমি এখানে।’
ওয়ালশের আশা, প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবেন সাফল্যের পথে।
তিনি আরো বলেন, ‘নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে প্রধান কোচের সঙ্গে মিলে কাজ করতেই আমি এখানে এসেছি। দু’জনে মিলে আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটে দারুণ কিছু সাফল্য এনে দিতে পারি।’