Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
sports-day_01_thereport241
খোলা বাজার২৪,সোমবার,০৫ সেপ্টেম্বর  ২০১৬ঃ  আন্তর্জাতিক দিবসের সঙ্গে মিল রেখেই ৬ এপ্রিলকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই দিনটিকে ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট এন্ড পিস ডে হিসেবে পালন করে আসছে জাতীয় সংঘ। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর মানসিকতা গঠনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গিবাদ থেকে তরুণ প্রজন্মকে দূরে রাখতে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফুটবলে মেয়েরাই সুনাম বয়ে এনেছে। বড় হয়ে এরা আরও সুনাম বয়ে আনবে। তবে মেয়েরা যা পারছে, ছেলেরা তা পারছে না। আশা করি, ছেলেরাও একদিন ভালো করবে। : তিনি বলেন, খেলাধুলায় প্রশিক্ষণ সবচেয়ে জরুরি। ’৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) কেবল সাপই দেখা যেতো। সেখানে আমরা উন্নয়ন করে খেলাধুলার উপযোগী করেছি। এখন প্রত্যেক বিভাগে বিকেএসপির শাখা করছি। খেলাধুলায় গুরুত্ব দিচ্ছি বলেই মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। এছাড়া প্রতিবন্ধীরাও ভালো করছে। আমরা দেখছি যারা অন্ধ তারাও ট্রফি নিয়ে আসে। : প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন স্টেডিয়াম দরকার। পূর্বাচলে সেটা করা হবে। প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করা হবে। এমনভাবে তৈরি করা হবে, যেন রাস্তা দিয়ে যেতেই মানুষজন খেলা দেখতে পারে। : তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ক্রিকেটে আজ রয়েল বেঙ্গল টাইগার অনেক পরিচিত। রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের ক্রিকেট বিশ্ব এখন হিসেব করে চলে। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। গ্রামে কিছু খেলা ছিলো। এগুলো আবার চালু করতে হবে। গোল্লাছুট, হা-ডু-ডু, ডাঙ্গুলির মতো খেলাও প্র্যাকটিস করতে হবে। যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেলের দাবির প্রেক্ষিতে ৬ এপ্রিলকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ৩২ ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকের হাতে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে শহীদ শেখ কামালকে মরণোত্তর পদক দেয়া হয়। ২০১০ সালে সাঁতারে হারুন-অর-রশিদ ও মরহুম তকবির হোসেন শুটিংয়ে আতিকুর রহমান, আথলেটিক্সে মাহমুদা বেগম, ফরিদ খান চৌধুরী, নেলী  জেসমিন  ও নিপা বোস (বুদ্ধি প্রতিবন্ধী) জিমন্যাস্টিক্সে দেওয়ান নজরুল হোসেন, সংগঠক হিসেবে মিজানুর রহমান মানু ও এ এস এম আলী কবীর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান। ২০১১ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেয়া হয় জিমন্যাস্টিক্সে রওশন আরা ছবি, বক্সিংয়ে কাঞ্চন আলী, কুস্তিতে আশরাফ আলী, ভলিবলে হেলেনা খান ইভা, ক্রিকেটে খালেদ মাসুদ পাইলট, শরীর গঠনে রবিউল ইসলাম (ফটিক দত্ত), হকিতে জুম্মন লুসাই, সংগঠক হিসেবে কুতুবউদ্দিন আহমেদ আকসির, আশিকুর রহমান মিকু  ও শহীদ শেখ কামালকে মরণোত্তর এই পদক দেয়া হয়। : ২০১২ সালে ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান, হকিতে মামুনুর রশীদ, ফুটবলে মোহাম্মদ মহসীন, খুরশিদ আলম বাবুল, আবদুল গাফফার, আশীষ ভদ্র, সত্যজিৎ দাশ রূপু, অ্যাথলেটিক্সে ফিরোজা খাতুন ও উম্মে সালমা রশীদ, ব্যাডমিন্টনে নাজিয়া আক্তার যূথী, সংগঠক হিসেবে রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল ও নুরুল আলম চৌধুরী পুরস্কার দেয়া হয়। : : – See more at: http://www.dailydinkal.net/2016/09/05/28313.php#sthash.6D7IZ08H.dpuf