পুরস্কার পেয়ে দুলাল বলেন, “ওবায়দুলকে ধরিয়ে দেওয়ার সময় ভাবতে পারিনি আমি এত প্রশংসা পাব। সবার প্রশংসা আমাকে ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন অন্তত একটা করে ভালো কাজ করব।”
গত ৩১ অগাস্ট সকালে নীলফামারীর সোনারায় বাজার থেকে ওবায়দুলকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ী দুলাল হোসেনসহ তিনজন। ওবায়দুলকে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তারা তাকে আটক করেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
গত ২৪ অগাস্ট ঢাকার কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা পরীক্ষা শেষে স্কুলের সামনের ওভারব্রিজ পার হওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়। এর চার দিন পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় দর্জি শ্রমিক ওবায়েদুলকে প্রাধন আসামি করে রিশার মা তানিয়া হোসেন ঢাকার রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রিশা ছুরিকাহত হওয়ার পর থেকে ওবায়েদুল পলাতক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায়। পুলিশের অভিযানের মুখে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় এলাকায় আত্মীবাড়ি আশ্রয় নেন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ডোমার থানার ওসি আহমেদ রাজিউর রহমান, ডোমার পৌরসভার মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আলম, ডোমার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাব্বের হোসেন, সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।