সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী ছাড়াও তার গাড়িচালক আনসার আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার ও জুনেদ আহমদসহ অনেক বিএনপি নেতাকর্মী দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ।
অবিলম্বে তাদের সন্ধান বের করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানী ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে ব্যক্তিগত গাড়ি চালক আনসারসহ এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ইলিয়াস আলীকে ‘গুম’ করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।
সংগঠনের আহ্বায়ক মফিজ আলীর সভাপতিত্বে ও সহ-সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফ্রান্স শাখা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সিরাজুর রহমান বক্তব্য দেন।
এছাড়া ফ্রান্স বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ জামাল, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান বকুল, ফ্রান্স বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ওমর গাজী, বিশ্বনাথ এসোসিয়েশনের সভাপতি কানু মিয়া, বিএনপি নেতা সৈয়দ হেলাল আহমদ ও ফরিদুজ্জামান সভায় উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদের মধ্যে আক্তারুজ্জামান সাগর, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, এরশাদ হোসেন, শরীফ আহমদ, আব্দুস সুবহান, আফরুজ মিয়া, সৈয়দ আলী, নুরুল আমিন, আতিকুর রহমান, ফরিদ মিয়া, আব্দুল আহাদ, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভূইয়া, কিরণ আহমদ, নজির হোসেন, আশিক আলী, সৈয়দ হেলাল আহমদ, কবির আহমদ, তারেক আজিজ, মিজানুর রহমান, ফরহাদ হোসেন, আহমদ ইমন, মুকুল হোসেন, রুবেল আহমদ, জমসেদ আহমদ, মামুন হোসাইন, সাইফুল আলম, ফারুক হোসেনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা সভায় অংশ নেন।
ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে আগামী ২ অক্টোবর প্যারিসে বড় পরিসরে প্রতিবাদ সভার সিদ্ধান্ত হয় এই সভায়। কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুহিদুর রহমান সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে নেতারা জানান।
ওই প্রতিবাদ সভার জন্য ১৭ সদস্যের একটি প্রচার উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
মাহবুবুর রহমান বকুলকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভূইয়া, ওমর গাজী, কানু মিয়া, ফরিদ মিয়া, আক্তারুজ্জামান সাগর, এরশাদ হোসেন, নজির আহমদ, হাসান হাওলাদার, মামুন হোসেন, মিজানুর রহমান রাজু, আব্দুল আহাদ, আনা মিয়া, ওলিউর রাহমান, ফয়সল আহমদ, শরীফ আহমদ ও ফরহাদ হোসেন।