আদালত অবমাননায় সাজার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তার পদত্যাগ চেয়ে হাই কোর্টে এক আইনজীবীর আবেদন এবং বিএনপির দাবি তোলার পরদিন মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে কথা বলে আদালত অবমাননা করায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুলের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট জরিমানা করে।
সম্প্রতি তার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আদালত নিয়ে মন্তব্য করে অবমাননার দায়ে দণ্ডিত দুই মন্ত্রী তাদের ‘সংবিধান রক্ষার শপথ ভেঙেছেন’।
এরপর এই দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠলেও তাতে তাদের কোনো সাড়া নেই। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকেও তারা অংশ নেন।
কামরুল বলেন, “একাত্তরের ঘাতকদের বিচার একটা চলমান প্রক্রিয়া। এই বিচারের পক্ষে আছি, থাকব। বিচার প্রত্যাশীদের পক্ষে আমার মুখে কথা বলেই যাব।”
যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি নিয়ে কথা বলে আদালত অবমাননা করেছিলেন কামরুল। বিচার নিষ্পত্তি শেষে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড তিন দিন আগেই কার্যকর হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল বলেন, “মীর কাসেম আলীকে ফাঁসি কার্যকরের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বহুত চেষ্টা করা হয়েছে। বিপুল ধনসম্পদ দিয়ে এই বিচার বানচাল করার বহু চেষ্টা করেছিলেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।”
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আইভি রহমানের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় যুদ্ধাপরাধের বিচার ও নিজের অবস্থান নিয়ে কথা বলেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রবিরোধীদের আন্দোলনের সমালোচনা করেন।
“রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করে পত্রিকায় শিরোনাম হওয়া যেতে পারে। কিন্তু জনগণের সমর্থন পাওয়া যাবে না। রামপাল হবে। জঙ্গি দমন হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৯ সালে নির্বাচনও হবে।”
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, “রাজনৈতিক সমালোচনা করলে কোনো অসুবিধা নেই। ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিলেও কোনো অসুবিধা নেই। সরকারে থাকলে ভুলত্রুটি হতেই পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।”