খোলা বাজার২৪, বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬: দর্শকের অভাবে দিনাজপুরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর পর এক সিনেমা হলগুলো। দিনাজপুর শহরে ৫ টি সিনেমা হলের মধ্যে ৪ টি হল বন্ধ হয়ে গেছে। টিভি চ্যানেল গুলোতে ২০ টির ও বেশী প্রতিদিন চলচিত্র প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও মোবাইল ফোনে চলচিত্র ও পাইরেশীর কারনে বাংলাদেশের হল ব্যাবসা কনঠাসা হয়ে পরেছে। ফলে হল ব্যাবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের লোকশান। আর হল গুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেলার কয়েক হাজার হল কর্মচারিরা বেকার হয়ে পরেছে।
দিনাজপুর জেলায় সিনামা হলের সংখ্যা প্রায় ২৫টি। এর মধ্যে শুধু দিনাজপুর শহরেই রয়েছে মডার্ন সিনেমা, চৌরঙ্গী সিনেমা, বোস্তান সিনেমা, লিলি সিনেমা ও কুঠিবাড়ী সিনেমা হল নামে ৫ টি সিনেমা হল। যার মধ্যে বর্তমানে শুধু মাত্র মডার্ন সিনেমা হল টি খোলা রয়েছে। দর্শকের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ৪ টি সিনেমা হল। ঘরে বসে বাংলাদেশী ও ভারতীয় চ্যানেলে সকাল থেকে রাত্রী পর্যন্ত চলতে থাকে নানান ধরনের সিনেমা। তাই হলে বসে ৩ ঘন্টা ব্যায় করে সিনেমা দেখার সময় যেন কারো নেই। এছাড়াও রয়েছে পকেটে পকেটে মোবাইল ফোনে সিনেমা দেখার সুযোগ তা ছাড়া রয়েছে সিডি ও ইন্টারনেটে সুন্দর সুন্দর ছায়া ছবি দেখার সুযোগ বলে মনে করেন কাজ হারানো কর্মচারিরা।
আর্থিক দৈন্য দশার কারণে হল মালিকরা হল মেরামত ডেকোরেশন বা অভিযাত্ত উন্নয়নে অর্থ খরচ করতে চাননা। ভাঙ্গাসিট আর ছাড়পোকায় ভোরা গদির কোন পরিবর্তন ঘটেনি। তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে হলে বসে ছবি দেখার পরিবেশ এখন আর নেই।
হল ব্যাবসায়ীরা সিনেমা হল বন্ধ করে সেখানে নির্মান করছে মার্কেট, সপিংমল কিংবা অন্য কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। আর বেকার হয়ে যাওয়া হল কর্মচারিরা ফুটপাতে কাপড় বিক্রি কিংবা ডিম, ফুচকা, চটপটি এবং ফল মুলের দোকান করে দু-বেলা দু-মুঠো আহারের সন্ধান করছেন। ভালো ছবির এখনো ঘাটতি রয়েছে দেশে। আমাদের দেশের চিত্র নির্মাতা কারীরা দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী ছবি উপহার দিতে পারছেননা এই কারণে দর্শকরা বিদেশী ছবির প্রতি আগ্রহ বারছে। তাই তারা সিনেমা হল গুলোতে যাচ্ছেননা। গুরুপ্ত দিয়ে সুস্থ্য, রুচিশীল ও দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী চলচিত্র নির্মান হলে আবার দর্শকরা হলমুখি হবেন এই মর্মে মন্তব্য করলেন দিনাজপুরের ৫০ বছরের পৈত্রিক হল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ পারভেজ।
যুগউপযোগী, সুস্থ্যসহ আন্তর্জাতিক ভাবে চলচিত্র নির্মানের প্রয়োজনীয় সব ধরণের নিয়ন্ত্রন সরকার হাতে নিয়ে এগিয়ে আসবেন তা হলে হলিউড, বলিউড কিংবা টালিউড এর মত আমাদের ছায়াছবির আন্তর্জাতিক বাজারে সমাদ্রিত হবে এই আসা করেন চলচিত্র দর্শকবৃন্দ।