খোলা বাজার২৪, বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬: জেলার লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউপি’র লাকসাম-মুদাফরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশে নোয়াপাড়া গ্রামে গতকাল বুধবার গভীর রাতে অবঃ স্কুল শিক্ষক আবুল কালামের বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল ওই বাড়ীর দুটি বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা, স্বর্নালংকার ও মোবাইলসেটসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ওইসময় ডাকাতদলের হামলায় ওই পরিবারের ৫ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই বাড়ীর গৃহবধু লিজা জানায়, প্রায় ৩টার দিকে ১০/১৫ জন লোক লুঙ্গি, শট প্যান্ট ও কালো মুখোশপড়ে হাতে বন্দুক ও বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দরজা ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে এক পর্যায়ে দরজার হুক খুলে গেলে ঘরে ঢুকে তারা আমাদের সবাইকে মুখে কাপড় গুজে হাত পা বেঁধে ওই ঘর দুটোতে আধা ঘন্টা যাবত তান্ডব লীলা চালায় এবং আমাদের সবাইকে মারধর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে আটকে রেখে ওইরাতে নিজস্ব ফার্মের মুরগী বিক্রির নগদ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, দেড়/দুই ভরি স্বর্নাংলকার ও ৬টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামী মোবাইলসেট সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই বাড়ীর অন্যান্য লোকজন জানায়, ডাকাত দল ঘরে ঢুকার পর ওই বাড়ীর মালিক কালাম মাষ্টারের মেঝো ছেলে দুবাই প্রবাসী দস্তগীর আলম প্রতিবাদ করলে ডাকাত দল তাঁকে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে এবং অন্যদের বেদম মারধর করে লুন্ঠিতমালামাল নিয়ে পালিয়ে যাবার পর ঘরে থাকা ২য় শ্রেণির ছাত্র জিসান আলম (৯) লোকজনের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দিলে তাদের আত্ম চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে উদ্ধার এবং গুরুতর আহত দস্তগীর আলমকে লাকসাম শহরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠান।
অন্যান্য আহতদের মধ্যে কালাম মাষ্টারের বড় ছেলে তাসকির আলম (৩৫), ছোট ছেলে প্রতিবন্ধি আরমান আলম (১৯), পুত্রবধু জোহরা বেগম (২৮) ও আত্মীয় জাহানারা বেগম (১৬) কে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত দস্তগীর আলম দুবাই প্রবাসী। সে গত ২২ দিন পূর্বে ছুটিতে বাড়ীতে এসেছে। তবে ওই গ্রামের বিভিন্ন সূত্র জানায়, ঘটনার দিন মুরগী বিক্রি করে মাফঝোপ ও টাকা বুঝিয়ে নিতে অনেক রাত হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জড়িত থাকা ছাড়া এ ঘটনা ঘটা সম্ভব নয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক লাকসাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল্ মাহফুজ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে লাকসাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল্ মাহফুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ বাহিনীর এক তৎপরতার পরও এ ঘটনাটি ঘটা দুঃখজনক। এ নিয়ে জোর তদন্ত অব্যাহত আছে বিধায় এ মূহূর্তে বেশি কিছু বলা যাবে না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।