সার্বিকভাবে কোরবানির পশুর মার্কেটগুলো স্থানীয় জাতের গরু ছাগলে ভরে গেছে। প্রায় সব মার্কেটেই অসংখ্য ক্রেতা দেশীয় গবাদি পশু কিনছেন।
সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্থানীয় পশু পালন খাত জোরদার হওয়ার পশুর মার্কেটে জেলার খাত জোরদার হওয়ায় পশুর মার্কেটে জেলার আশপাশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক স্থানীয়জাতের গবাদি পশুর সরবরাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়ায় স্থানীয় পশু পালন খাতে বিপ্লবসাধিত হয়েছে।
সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে এখাতে বিভিন্ন সহযোগিতা পাওয়ায় শহর এবং গ্রাম উভয় এলাকায় দরিদ্র এবং নারীসহ প্রান্তিক মানুষ এখাতে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে।
জেলার অতিরিক্ত পশু সম্পদ কর্মকর্তা জুলফিকার মো. আক্তার হোসেন বলেন, প্রজলন ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে এ অঞ্চলে কৃত্রিম উপায় গরুর গর্ভধান জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ক্রস ব্রিডিংয়ের কারণে গরুর দুধ দেয়ার ক্ষমতা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঈদুল আযহার আর মাত্র ৫ দিন বাকী আছে, ইতোমধ্যেই নগরী ও ৯ উপজেলা ও সংলগ্ন এলাকায় কোরবানির পশুর ব্যাপক ক্রেতা সমাগম এবং শত শত পশুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সিটিহাট, নাওহাটা হাট, বানেশ্বর হাট, কিশোহাট, কামথাখালি হাট, রাজাবাড়ি হাট, কাকন হাট, মহিষাল বাড়ি হাট ও মাচমইল হাটে বিক্রির জন্য বিপুল কোরবানির পশু আনা হয়েছে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নগরীতে ৮টি পশুর মার্কেট অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে একটিতে ভারত থেকে আমদানি করা গরু রাখা হবে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, পশুর হাটে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় মূল্য ও গতবারের মতোই। কোরবানির জন্য আদর্শ সাইজের একটি গরু অথবা মহিষের দাম ৩০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের দাম ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।
খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার,০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: ঘরে ঘরে গবাদি পশু পালন, মোটাতাজাকরণের পাশাপাশি ডেইরি ফার্ম গড়ে তোলার সুবাদে এ অঞ্চলের স্থানীয় গবাদি পশুর মার্কেটগুলো এখন গবাদি পশুতে ভরে গেছে।