খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬: ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।নীচে যায়গা না পেয়ে ঝুকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে বাড়ী রওনা দিয়েছে অনেকেই। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে সকালে ছেড়ে যাওয়া চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে। সকাল ৭টায় ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ৭টা ২০ মিনিটে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস, পৌনে ৯টায় সিলেটগামী পাহাড়িকা, বেলা সাড়ে ১২টায় মহানগর এক্সপ্রেস, বিকেল ৩টায় গোধূলী চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে।এ ছাড়া সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা, চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস বিকেল সোয়া ৫টা, উদয়ন রাত পৌনে ১০টা ও তূর্ণানীশিতা রাত ১১টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাবে।
৯ জোড়া আন্তঃনগর, ৫ জোড়া মেইল এক্সপ্রেস ও তিন জোড়া স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে ১৫ থেকে ১৮ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হাই।
তিনি বলেন শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় সকাল থেকেই স্টেশনে যাত্রীদের চাপ শুরু হয়েছে। এদিনের সবগুলো ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় ছিল লক্ষ্যনীয়।চাপ থাকলেও এবার যাত্রী পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার ঈদ স্পেশাল ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে অনেকগুলো ট্রেনে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফিরতে পারছেন।
পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট থেকে ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন দেওয়া হয়েছে ৭ সেপ্টেম্বরের এর অগ্রিম টিকেট। পরদিন মঙ্গলবার ৩০ আগস্ট দেওয়া হয় ৮ সেপ্টেম্বরের অগ্রিম টিকেট, বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর ও বৃহস্পতিবার দেওয়া হয়েছে ১০ সেপ্টেম্বরের টিকেট। ১ সেপ্টেম্বর ১০ সেপ্টেম্বরের এবং ২ সেপ্টেম্বর ১১ সেপ্টেম্বরের টিকিট দেওয়া হয়। একইভাবে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ফিরতি টিকিট বিক্রি। চলবে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।