খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬: বিদায়ী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেছেন, পেশাগত জীবনে চট্টগ্রাম আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে। চট্টগ্রাম ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব শুভ কর্মকাণ্ডে পুরোভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। জঙ্গিবাদ নির্মূল অভিযানেও চট্টগ্রাম পুরোভাগে থাকবে। চট্টগ্রামে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে শান্তিময় সম্প্রীতির পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করেছে।
শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলা প্রদত্ত সংবর্ধনার জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি চট্টগ্রামবাসী ও সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বার-আউলিয়া, সাধক, মনীষী ও বিপ্লবীদের পুণ্যভূমি চট্টগ্রাম ধর্মীয় ও অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী। এই মাটি থেকেই সুফিবাদ প্রসারিত হয়েছে। পাশাপাশি প্রগতিশীল সংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রটিও অত্যন্ত উর্বর। মহাকবি আলাওল, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, নৃত্যগুরু বুলবুল চৌধুরী, কবিয়াল রমেশ শীল, নবীন সেনের মতো অনেক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্ব সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে আলো ছড়িয়েছেন।
তিনি সংস্কৃতিকর্মীদের এ ঐতিহ্য ধারণ করে নতুন প্রজন্মকে পরিশুদ্ধ করার আহ্বান জানান।
তিনি চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম সারা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রাণশক্তি। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে সারা দেশের উন্নয়ন। এ সত্য উপলব্ধি করে নতুন কর্মক্ষেত্রে আমি চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও স্বার্থরক্ষায় সচেষ্ট থাকবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মেজবাহ উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসকের পুরস্কার পেয়ে চট্টগ্রামবাসীকে ধন্য করেছেন। তিনি আমলাতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে জনকল্যাণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় আন্তরিক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শতভাগ অন্তরে ধারণ করে আমাদের প্রিয়জনে পরিণত হয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। কোনো সঙ্কীর্ণ স্বার্থে উন্নয়ন যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে প্রজাতন্ত্রের সব স্তরের কর্মকর্তাকে সজাগ থাকতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী বলেন, মেজবাহ উদ্দিন প্রজাতন্ত্রের একজন দক্ষ কর্মকর্তা। সবচেয়ে বড় কথা একজন পরিচ্ছন্ন সুনাগরিক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তার সুস্থ সংস্কৃতিবোধ তাকে পরিশীলিত করেছে। তাই তাকে আমরা সহজেই ভুলতে পারব না।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অনুপ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডার মো. সাহাব উদ্দিন, ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হোসেন বাচ্চু, সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন কালু, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রফেসর নিছার উদ্দীন আহমেদ মনজু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম এরশাদ উল্লাহ, শৈবাল দাশ সুমন, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, ছড়াকার সংসদের সভাপতি আ ফ ম মোদাছ্ছের আলী, নগর যুবলীগের সদস্য সুমন দেবনাথ, লিটন রায় চৌধুরী, তানভীর আহমেদ রিংকু, জাহেদুর রহমান সোহেল, জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইয়াছির আরাফাত, আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সদস্য ডা. হোসেন আহমদ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম ও বঙ্গমাতা পরিষদ দুবাই শাখার সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন।
উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ, সজল দাশ, সুজিত চৌধুরী মিন্টু, আসিফ ইকবাল, দেব বড়ুয়া, শ্রাবণী দে, মো. কামাল হোসেন, সুভাষ চৌধুরী টাংকু, সাজিব বৈদ্য, শ্যামল দেব সবুজ, উজ্জ্বল সেন রাজু, ডা. রানা দে, ডা. জয়দেব চৌধুরী সানি, বোরহান উদ্দিন গিফারী, মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
