Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

8kমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: শিমুলিয়া ঘাট থেকে ১৭টি ফেরি দিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। পারাপারের অপেক্ষায় আছে নয় শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সারিও দীর্ঘ হচ্ছে। ছোট প্রাইভেট কারের সংখ্যাও কম নয়। অতিরিক্ত ভাড়া ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ আর স্পিডবোটে পাড়ি জমাচ্ছেন যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোরের আলো না ফুটতেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায় মানুষ আর গাড়ির জটলা। ঈদুল আজহা সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে নেমেছে ঘরমুখো মানুষের ঢল। শুক্রবার ভোরের আগেই যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করে যাত্রীরা যেতে থাকেন শিমুলিয়া ফেরিঘাটে।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোশাররফ হোসেন জানান, গাড়ির চাপ রয়েছে। সারিবদ্ধভাবে পারাপার হচ্ছে। তবে ফেরিতে উঠতে একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বরিশালগামী যাত্রী মো. রহিম মিয়া বলেন, তিনি গুলিস্তান থেকে সকালে রওনা হয়েছেন। গাড়ি ছিল অনেক। তবে ভাড়া ২০ টাকা বেশি নিয়েছে।
ঢাকার মো. মোতালেব আহমেদ বলেন, ‘পরিবার নিয়ে রওনা হয়েছি যশোর যাব। ভোররাতে ঘাট এলাকায় আইসি। পাঁচ ঘণ্টা হয়েছে। এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই। খারাপ লাগছে না। ঈদ করব সবার সাথে। মা-বাবা আছে।’
ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে লঞ্চ ছাড়তে দেখা গেছে। তবে ঘাট এলাকায় পুলিশ টহলের কারণে সঠিক সময়ে লাঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নয় শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য প্রায় সব ফেরিতে কম গাড়ি ওঠানো হচ্ছে। তবে গাড়ির এই দীর্ঘ লাইন দ্রুত কমে আসবে। ১৭টি ফেরি দিয়ে গাড়ি পারাপার হচ্ছে।
গিয়াসউদ্দিন আরো বলেন, মধ্যরাত থেকে মাওয়া ঘাটে পারাপারের জন্য চাপ বাড়তে থাকে। নদীতে ¯্রােত ও ঢেউ থাকায় ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় বেশি নিচ্ছে।