খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আবাসিক ভবন থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ওই শিক্ষকের ছোট ভাই ছোট ভাই কামরুল হাসান রতন মামলাটি করেন বলে মতিহার থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নিহতের ছোট ভাই মামলায় কারো নাম উল্লেখ না করে কেউ তার বোনকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন।’
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষকদের আবাসিক ভবনে নিজ কক্ষের দরজা ভেঙে আকতার জাহানের লাশ পাওয়া যায়।
এই বিভাগে তার সহকর্মী সহযোগী অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আকতার জাহানকে তার ঘরে মশারির ভেতরে শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মুখে ফেনা ও রক্ত বেরিয়ে আসার মতো কালো দাগ ছিল।
পরে ওই ঘরের টেবিলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যেখানে ‘আত্মহত্যার’ কথা জানিয়ে ‘কেউ দায়ী নয়’ বলা হলেও নিজের সন্তানের গলায় ‘ছুরি ধরার’ অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে।
ডায়েরির সঙ্গে মিলিয়ে পুলিশ বলেছে, আকতার জাহানের হাতের লেখার সঙ্গে মিলে গেছে তা। এর মধ্যে শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষ হয়।
পরে দুপুরে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. এনামুল হক বলেন, ‘সুরতহাল অনুযায়ী বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বের হলে আসল কারণ জানা যাবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৯৭ সালে শিক্ষক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন আকতার জাহান। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই তার বিয়ে হয় তানভীর আহমেদের সঙ্গে, যিনি বর্তমানে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
সহকর্মীরা জানান, তানভীরের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে ২০১২ সালে জুবেরী ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষে ওঠেন আকতার জাহান। স্কুলপড়ুয়া ছেলে তখন বাবার সঙ্গে থাকলেও মাঝেমাঝে মায়ের কাছে আসত।
এরমধ্যে গত বছরের শেষ দিকে তানভীর আবার বিয়ে করেন।