Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1kপ্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। এ দিন উপলক্ষে পরিবার এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ মহসিন আলী মৃত্যুবরণ করেন।

পরিবার ও সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর দিন হওয়ায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। তবে এদিন সকালে প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রীর কবরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। জেলা ছাত্রলীগ মন্ত্রীর বাসভবনপ্রাঙ্গণে আলোচনাসভার আয়োজন করবে। এতে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মসজিদে দোয়া, মন্দির ও গীর্জায় প্রার্থণাসভা করা হবে। বাদ এশা পরিবারের উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১ অক্টোবর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিত থাকার কথা। সমাজকল্যান মন্ত্রী সৈযদ মহসিন আলী। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান তিনি। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে দেশ আর দেশের মানুষকে অনেক দিয়েছেন এই মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ গঠনে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রচুর কাজ করেছেন।সংসদ সদস্য হওয়ার আগে মৌলভীবাজার পৌরসভায় পরপর ৩ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন মহসিন আলী। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি বিএনপি নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে বিপুল ভোটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে সেইবার কোনো মন্ত্রীত্ব পাননি।

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে আবার বিজয়ী হবার পর তাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তৃণমূলের এই নেতা সম্মানিত হন তার কাজের জন্য।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। দেশমাতৃকার প্রতি তার মমত্ববোধের কারণে স্বতস্ফূর্তভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। সম্মুখসমরে যুদ্ধচলাকালে গুলিবিদ্ধও হয়েছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সিলেট বিভাগে সিএনসি স্পেশাল ব্যাচের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কাজ করেছেন যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ গঠনেও। তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। মৌলভীবাজার মুহকুমার রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিতে তিনি ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে জেলা আওয়ামী লীগেরও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতাত্তোরকালে তিনিই একমাত্র জননেতা যিনি পৌরসভায় পর পর ৩বার বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে তাকে শ্রেষ্ঠ পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করে।

২০১৪ সালের ১২ই জানুয়ারি তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোকে ঢেলে সাজিয়েছেন। সেখানে এখন বহুমুখী বাস্তবসম্মত প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সমাজসেবায় অবদান রাখার জন্য তিনি ভারতের নেহেরু সাম্য সম্মাননা ও আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন সম্মাননা স্বর্ণপদক লাভ করেন।