দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ঈদুল আযহার পশু চামড়ার বাজারে ধ্বস নেমেছে। প্রতিটি ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ১হাজার টাকায়। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী মুল্যে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গ্রাম থেকে চামড়া কিনলেও সেই মুল্য মহাজনেরা না দেয়ায় বড় রকমের লোকসানের মুখে পড়েছে চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার গরুর চামড়া প্রতি বর্গফিট ৪০ টাকা, ছাগলের চামড়া ১৫টাকা ও খাসির চামড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করলেও ফুলবাড়ীর চামড়া মহাজনেরা সরকারের সেই ঘোষনাকে তোয়াক্কা না করে কম দামে চামড়া কেনায় তারা বড় রকমের লোকসানের মুখে পড়েছে।
এদিকে চামড়ার মহাজনেরা জানায়, ঢাকার দর মফস্বলে দাবী করায় তারা সে দর দিতে পারেনি। কারণ মফস্বলের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে ঢাকায় রপ্তানি করতে বড় রকমের একটি খরচ হয়। সেই খরচের টাকা বাদ দিয়ে চামড়া কেনা হয়েছে।
ফুলবাড়ী পৌরবাজারের নিমতলা মোড়, রেলগেট বাজার ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চামাড়ার বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ৩শ টাকা থেকে ১হাজার টাকা পর্যন্ত। খাসির চামড়া ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা ও সাধারণ ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে চামড়া প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। চামড়ার খুচরা ব্যবসায়ী সাইলু আহম্মেদ, আব্দুর রউফ, কোরবানী আলী বলেন, সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী গরুর চামড়া ৪০ টাকা বর্গফিট নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি গরুর চামড়া কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩৬বর্গফিট পর্যন্ত হয়। যা সরকারি মূল্য অনুযায়ী ১হজার টাকা থেকে ১হাজার ৪শ টাকা পর্যন্ত দাম হবে এবং খাসির চামড়া প্রতিবর্গফিট ২০টাকা ও সাধারণ ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফিট ১৫ টাকা । এতে প্রতিটি চামড়ার মুল্য দাড়ায় ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। এই হিসাব করেই তারা গ্রাম থেকে চামড়া সংগ্রহ করেছে। কিন্তু চামড়ার মহাজনেরা সেই দাম তোয়াক্কা না করে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কম মুল্যে চামড়া কেনায় তারা বড় রকমের লোকসানের মুখে পড়েছে।
এদিকে চামড়ার ফুলবাড়ী মহাজন ইউনুছ আলী, কাবির হোসেন, সুধির চন্দ্র বলেণ, প্রতি বর্গফিট ৪০ টাকা দরে চামড়া বিক্রি করা হবে ঢাকায়। কিন্তু চামড়াটি প্রক্রিয়াজাত করতে প্রতিটি চামড়ার পেছনে একটি মোটা অংকের প্রক্রিয়াজাত খরচ হয়। এ কারণেই নির্ধারিত মুল্যের একটু কমে চামড়া কিনতে হয়।